
মহাবিশ্বের জন্মের অনুসন্ধানে মহাকাশে প্রেরণ করা হয়েছিল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। সেই টেলিস্কোপ প্রথম ছবি পাঠাল মহাবিশ্বের। এই সাফল্যে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মহাকাশ বিজ্ঞানে বা জ্যোতির্বিদ্যায় যুগান্তকারী উন্মোচন হল। এই ছবি শুধু একটা মহাবিশ্বের ভালো ফটোগ্রাফি নয়, এটি গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা
১৯৯০-এর দশকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশে প্রেরণ করেছিল হাবল টেলিস্কোপ। তার পাঠানো ছবিও মহাকাশ গবেষণাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এবার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মহাবিশ্বের জন্ম নিয়ে প্রচুর তথ্য দেবে বলে আশাবাদী জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই মহাকাশ যান এখনই যে পারফরম্যান্স করতে শুরু করেছে, তাতে নিতান্তই অভিভূত বিজ্ঞানিরা।
নাসা প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করে মহাবিশ্বের। এতে দেখা যাচ্ছে একাধিক ছায়াপথের ছবি। আকাশে ভরপুর গ্যালাক্সির ছবি। হাজার আলোকবর্ষ দূরে এক্সোপ্ল্যানেটসহ বৃহস্পতির দ্বিগুণ আকারের ছবি পাঠিয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। মহাবিশ্বের সবথেকে গভীরের ছবি বলে তা বর্ণনা করা হয়েছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পাঠানো এদিনের প্রকাশিত ছবিতে পাঁচটি গ্যলাক্সির একটি মহাজাগতিক দৃশ্য ধরা পড়েছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ যে মহাবিশ্বের আরও গভীরের ছবি ক্রমশ সামনে আনবে, তা তার প্রথম প্রদর্শনেই বোঝা যাচ্ছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ সত্যিকারের হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরি হিসেবেই কাজ করতে শুরু করেছে।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দেখিয়ে দিয়েছে তার ক্ষমতা। এক ছবিতে এক হাজারের বেশি ছায়াপথ দেখিয়ে দুনিয়াকে অবাক করে দিয়েছে নাসার ওই অত্যাধুনিক মহাকাশযান। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ যে মহাবিশ্বের তাক লাগানো ছবি উপহার দেবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মহাকাশের অন্ধকার থেকে অজানাকে জানতে নানা ছবি ও তথ্য পাঠিয়েছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পাঠানোর প্রথম মহাজাগতিক ছবিগুলি দেখার অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নাসা নতুন যে সমস্ত ছবি প্রকাশ করল, মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহৃত হবে। সম্প্রতি ছায়াপথগুলির এই মহাজাগতিক দৃশ্য মহাবিশ্বে লুকিয়ে থাকা কোন কোন বিষয়বস্তুর আভাস দেয়, তা জানার জন্য অপেক্ষা মহাকাশপ্রেমীরা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম