
আফগানিস্তানে লাগামহীন ভাড়া বৃদ্ধির লাগাম টানতে নতুন নীতি চালু করেছে তালেবান সরকার। দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতি বছরে বাড়ি ভাড়া সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের বেশি বাড়ানো যাবে না এবং সব ভাড়ার চুক্তি সরকারি মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। বছর বছর হু হু করে বাড়ছে বাড়ি ভাড়া। যা অনেকের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর এই জন্যই আফগানিস্তানে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির হার নির্দিষ্ট করে দিয়েছে তালেবান সরকার। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম খামা প্রেস।
আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রণালয় বলেছে, আগের বছর একজন ভাড়াটিয়া বাড়ির জন্য যত ভাড়া দেবেন, পরের বছর এটি ১০ শতাংশের বেশি বাড়ানো যাবে না। এরমধ্যেই রাখতে হবে। এছাড়া বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ভাড়া বিষয়ক কাজ সরকারি মাধ্যমে করার নির্দেশনাও দিয়েছে বিচার মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, এরমাধ্যমে আইনি বৈধতা পাবে বিষয়টি। বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ব্যাপারটি আফগানিস্তানের সব প্রদেশে কার্যকর হবে।
তালেবান সরকারের গোয়েন্দা প্রতিনিধি, পুলিশ কমান্ড, কাবুল পৌরসভার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যারা নির্ধারিত ১০ শতাংশের বেশি ভাড়া বাড়াবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
ইরান ও পাকিস্তান থেকে গত কয়েকমাস ধরে অনেক আফগান শরণার্থীকে জোরপূর্বক নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাদের অনেকে রাজধানী কাবুলে আসছেন। এতে করে কাবুলে বাড়ির চাহিদাও বেড়ে গেছে অনেক গুণ। এটির সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাড়ির মালিকরা নিজের ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়াচ্ছেন। যা অনেকের জন্য জুলুম হয়ে পড়েছে।
বিচার মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছে, আইনি সহায়তা পেতে সব বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াকে সরকারিভাবে ভাড়ার চুক্তি করতে হবে। কোনো সাদা কাগজে চুক্তি করলে সেটি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম