হোয়াইট হাউসে নতুন বলরুম তৈরির ৩শ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পে নতুন স্থপতি নিয়োগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মূল ডিজাইনারের সঙ্গে মতবিরোধের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ক্লাসিক্যাল স্থাপত্যশৈলী বিশেষজ্ঞ জেমস ম্যাকক্রেরির সঙ্গে বলরুমের আকার আরও বড় করার বিষয় নিয়ে ট্রাম্পের মতানৈক্য ছিল।
এ নিয়েই প্রকল্পটিতে ধীরগতি দেখা দেয় বলে মার্কিন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়।
এই প্রকল্পে নতুন স্থপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শ্যালোম বারানেস। ওয়াশিংটন শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনার নকশা বা সংস্কারের কাজে তিনি বহু বছর ধরে যুক্ত ছিলেন।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ডেভিস ইংল এক বিবৃতিতে বলেন, বলরুম প্রকল্পের নতুন ধাপে প্রবেশের সময় শ্যালোম বারানেসকে দলে পেয়ে আমরা আনন্দিত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।
বারানেসের প্রতিষ্ঠান এর আগে হোয়াইট হাউসের পাশের মার্কিন ট্রেজারি ভবনের আধুনিকায়ন করেছিল।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর পেন্টাগনের সংস্কারকাজেও তারা যুক্ত ছিল।
নতুন বলরুম তৈরির জন্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের পুরো ইস্ট উইং ভেঙে ফেলেছেন।
তার দাবি, নতুন বলরুম হবে এক হাজার অতিথির ধারণক্ষমতার ।
এই পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সমালোচকদের আশঙ্কা, নতুন ভবনটি মূল প্রেসিডেন্সিয়াল ম্যানশনকে ঢেকে দিতে পারে।
সারা বিশ্বের পরিচিত স্থাপনাটির ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
তার এই পরিকল্পনাকে ঘিরে ইতোমধ্যে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে।
কেউ কেউ বলছেন, নতুন ভবনটি হোয়াইট হাউসের মূল ভবনকে ঢেকে ফেলতে পারে। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত এই স্থাপনাটির সৌন্দর্য আড়াল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ট্রাম্প জানান, প্রকল্পের পুরো ব্যয়ই তিনি ব্যক্তিগতভাবে বহন করবেন। তবে এখনো কেউ এটিকে যাচাই করতে পারেনি।
মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, বলরুমের আকার নিয়ে মতবিরোধ ছাড়াও, ম্যাকক্রেরির ছোট প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে কি-না, এ নিয়ে ট্রাম্পের উদ্বেগ ছিল।
যদিও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, ম্যাকক্রেরি তাদের সঙ্গেই থাকছেন। এটা তার বদলি নয়, শুধু দায়িত্বের পরবর্তী ধাপে হস্তান্তর।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

