রোববার,

১৩ জুলাই ২০২৫,

২৮ আষাঢ় ১৪৩২

রোববার,

১৩ জুলাই ২০২৫,

২৮ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

চাঁদা নয়, গোডাউনের তালা ভাঙাতেই খুন হয় সোহাগ!

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৪১, ১২ জুলাই ২০২৫

Google News
চাঁদা নয়, গোডাউনের তালা ভাঙাতেই খুন হয় সোহাগ!

সোহাগের ভাঙারির গোডাউনে তালা মারাকে কেন্দ্র করেই পুরান ঢাকার মিটফোর্ডের সামনে ঘটে নৃশংস ঘটনা। পুলিশ চাঁদাবাজির আলামত না পেলেও সোহাগের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, ঘটনার দুইদিন আগেও মাসে দুই লাখ টাকা ও ব্যবসার পার্টনারশিপ দাবি করেছিলো মামলার দুই নম্বর আসামি টিটু। সোহাগ রাজি না হওয়ার এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয় আসামিরা।

গত ৭ জুলাইয়ের ঘটনা; স্লোগান দিতে দিতে চাঁদার দাবিতে সোহাগের দোকানে প্রবেশ করে সারোয়ার হোসেন টিটুর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা। এ সময় ভয়ে সিঁড়ির ওপরের দিকে দৌড়ে পালায় দোকানের কর্মচারীরা। তবে সোহাগ ছিলো দোকানেই।

প্রায় ১০ মিনিট সোহাগের সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে বিতণ্ডায় জড়ায় টিটু। মাসে দুই লাখ টাকা ও ব্যবসার পার্টনারশিপের দাবি করলে সোহাগ দোকান থেকে বের হয়ে যায়। এরপরই দোকানের গোডাউনে তালা মারতে দেখা যায় টিটুকে।

এর দুইদিন পর ৯ জুলাই নিজ দোকানের তালা ভেঙে ব্যবসা শুরু করে সোহাগ। তখনই ঘটে সেই নৃশংস ঘটনা। কার অনুমতিতে তালা ভাঙা হয়েছে তা থেকেই ঘটনার শুরু, পরের ঘটনাতো পুরা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে!

তবে প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ বলছে, চাঁদাবাজি নয় ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।

ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, মামলায় এজাহারনামীয় ১৯ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচ জনকে, এক নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা গেলেও এখনো খোঁজ মেলেনি ঘটনার মূল হোতা টিটুর।

পুলিশ ও র‍্যাব জানিয়েছে, ঘটনাটি বুধবারের (৯ জুলাই) এবং এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে বৃহস্পতিবার। কিন্তু এর বীভৎসতার দিকটি সামনে আসে শুক্রবার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার মধ্য দিয়ে।

সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (যেটি মিটফোর্ড হাসপাতাল নামেও পরিচিত) একটি গেটের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে সংঘটিত ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন তারা বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে।

এরপর সংগঠন তিনটি থেকে পাঁচ জনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

ঘটনার যে ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে আছে তাতে দেখা যায়, পিটিয়ে আঘাতের পর ওই ব্যক্তির বিবস্ত্র শরীরে পাথরখণ্ড দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। এক পর্যায়ে অন্তত দুই জনকে ওই ব্যক্তির শরীরের ওপর উঠে লাফাতে গেছে ভিডিও ফুটেজে।

সম্পূর্ণ সত্য বললে মামুনকে ক্ষমার বিষয় বিবেচনা: ট্রাইব্যুনালসম্পূর্ণ সত্য বললে মামুনকে ক্ষমার বিষয় বিবেচনা: ট্রাইব্যুনাল
নিহত ব্যক্তির বোন মামলার এজাহারে জানিয়েছেন, তার ভাই ঢাকার রজনী বোস লেন এলাকায় অনেক দিন ধরেই ভাঙারি পণ্যের ব্যবসা করতেন। তার সঙ্গে ব্যবসায়িকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মামলার আসামিদের বিরোধ চলছিলো।

আসামিরা ওই ব্যক্তির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুদামে তালা দেওয়া ছাড়াও তাকে এলাকাছাড়া করতে বিভিন্ন সময় হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলো বলেও এজাহারে বলা হয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের