চা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছে। কারও কাছে সকালে এক কাপ চা না হলে যেন দিনই শুরু হয় না। কেউ দুধ চা খেতে ভালোবাসেন, কেউ লাল চা, কেউ মসলা চা, কারও আবার পছন্দ মসলা চা। কেউ দিনে এক কাপ, কেউ আবা দিনে কয়েক কাপ পর্যন্ত চা খান। তবে চা বানানোর কৌশল জানা না থাকলে কখনও কখনও তা খুব তেতো, কখনও কখনও পানসে, কখনও কখনও দুধ এবং পাতার মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।
যারা ঘন ঘন চা খেতে পছন্দ করেন স্বাদ বাড়াতে তারা কিছু কৌশল জেনে রাখতে পারেন । যেমন-
দুধ চা তৈরির ক্ষেত্রে
যদি তিন কাপ চা তৈরি করেন, তাহলে আগে থেকে রেফ্রিজারেটর থেকে প্রায় দেড় কাপ পরিমাণে দুধ বের করে নিন। দুধ ফুটিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে নিন। রেফ্রিজারেটর থেকে সরাসরি ঠান্ডা দুধ বের করে জ্বাল দিলে চায়ের স্বাদ নষ্ট হতে পারে। গুঁড়া দুধ দিয়ে চা বানালে তিন কাপ পানিতে এক তৃতীয়াংশ কাপ পরিমাণে দুধ নিন।
মসলা চা তৈরির জন্য সঠিক উপাদান
তিন কাপ মসলা চা তৈরির জন্য ২টি এলাচ (কাটা), প্রায় ২ ইঞ্চি আদা থেতেলে নিতে হবে। গ্রীষ্মকালে,মৌরি বীজ যোগ করতে পারেন। শীতকালে গোলমরিচ বা জাফরান দিলে স্বাদ ভালো হবে। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীও হবে।
উচ্চ তাপে পানি ফোটানো
চায়ের আসল ভিত্তি হল পানি। যতটা পানি লাগবে ঠিক ততটাই পানি নি। উচ্চ তাপে পানি ফোটান। ফুটন্ত পানিতে মসলার সুগন্ধ এবং স্বাদ সবচেয়ে ভাল্ভাবে পাওয়া যায়। ফোটানোর পরে, আঁচ মাঝারি বা কমিয়ে দিয়ে আদা এবং এলাচ যোগ করুন। কমপক্ষে ৩ মিনিটের জন্য ফুটতে দিন। এই সময়ের মধ্যে, পানির রঙ পরিবর্তন হয়ে সুগন্ধ বের হবে। ঠান্ডা পানিতে মসলা বা চা পাতা যোগ করলে চা তেতো হয়ে যেতে পারে।
চা পাতা যোগ করার সঠিক সময়
পানির রঙ বদলে যাওয়ার পর গরম পানিতে চা পাতা যোগ করুন। একে ব্লুমিং বলা হয়। এই পর্যায়ে চা পাতা আসল রঙ এবং সুগন্ধ ছেড়ে দেয়। দুধ নয়, চা পাতার সঙ্গে চিনি যোগ করুন। তাহলে চায়ের স্বাদ ঠিক থাকবে।
দুধ যোগ করার সঠিক সময়
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা দুধ যোগ করুন। ঠান্ডা দুধ যোগ করলে চায়ের তাপমাত্রা বদলে যাবে এবং উপরে একটি ক্রিমি স্তর তৈরি হবে। দুধ যোগ করার পর, চা ১ মিনিট ফুটিয়ে নিন। হালকা করে নাড়তে থাকুন।
স্বাদ দ্বিগুণ করতে কী করবেন
চা ছেঁকে সামান্য দারচিনি গুঁড়ো এবং এলাচ গুঁড়ো যোগ করুন। এতে চায়ের সুগন্ধ এবং স্বাদ দ্বিগুণ হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

