শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

দেশে ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ২১ জুন ২০২২

আপডেট: ২৩:০৮, ২১ জুন ২০২২

Google News
দেশে ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরন শনাক্ত হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক বিএ.৪/৫ (BA.4/5) নামের নতুন এ সাব-ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক যশোরের করোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তির থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন জিনম সিক্যুয়েন্সের মাধ্যমে নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত করেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বয়স ৪৪ বছর এবং আরেক জনের ৭৯।

যবিপ্রবির উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক  ড. মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, করোনার ওমিক্রনের নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি সহজেই মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পাশ কাটাতে পারে। তাই সবার মাস্ক ব্যবহারসহ করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রায় পাঁচ মাস আগে গত ২৪ জানুয়ারি করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের তিনটি উপ-ধরন বা সাব-ভ্যারিয়েন্ট রাজধানী ঢাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার তথ্য জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা সংস্থা, বাংলাদেশ বা আইসিডিডিআরবি।

সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে তখন বলা হয়েছিল, জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ৩৭৯ জন কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে ২৬০ জনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। যা সংক্রমিতদের মধ্যে শতকরা হিসাবে ৬৯ শতাংশ।

এর একদিন আগেই ২৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জায়গা নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন একটু একটু করে দখল করে নিচ্ছে।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জিম্বাবুয়েফেরত দুই নারী ক্রিকেটার করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল। এরও পাঁচদিন আগে গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়। ওই সময় ৭৭ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচজনের শরীরে নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট পায় আইসিডিডিআরবি। বাকি ৭২ জনই ছিলেন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।

তবে চলতি বছরের শুরু থেকেই বদলে যায় চিত্রপট। ধীরে ধীরে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের চেয়ে ওমিক্রনে শনাক্তের হার বাড়তে থাকে। এরইমধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ওমিক্রনের অভিঘাতে পড়েছে। বিজ্ঞানীরা শুরু থেকেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটিকে ‘সুপারস্প্রেডার’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে বাংলাদেশে করোনার আলফা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার দেখা দেয়। ওই বছরের মার্চে শনাক্ত হয় বেটা ভ্যারিযয়েন্ট। মে মাসের মধ্যেই বেটা ধরনে আক্রান্তের হার আগের সব ধরনকে ছাড়িয়ে যায়। তবে গত বছরের মে মাসের শেষ দিকে দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত হলে মাসখানেকের মধ্যেই তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের