টুয়েলভথ ফেল। এই সিনেমায় শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, দীপিকা পাডুকোনের মতো বড় কোনো তারকা নেই। বাজেটও ২০০ কোটি নয়, মাত্র ২০ কোটি। বড় আয়োজন ও তারকাবহুল ‘অ্যানিমেল’ ও ‘ডানকি’র ডামাডোলের মধ্যে আলোড়ন তুলেছে টুয়েলভথ ফেল’। সিনেমাটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দর্শকেরা, ভারত ছাপিয়ে বাংলাদেশেও সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
আইপিএস কর্মকর্তা মনোজ কুমার শর্মাকে নিয়ে ঔপন্যাসিক অনুরাগ পাঠকের উপন্যাস ‘ঁটুয়েলভথ ফেল’ অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা বিধু বিনোদ চোপড়া। গল্পটা ভারতের দর্শকের চিরচেনা। ভারতের নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা আইপিএস কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কৃষক, অটোচালক কিংবা দিনমজুরের সন্তানেরা জীবনের পরিবর্তনের জন্য দিনের পর দিন সংগ্রাম করে যান। ভারতের কোটি কোটি তরুণের জীবনের প্রতিনিধি হয়ে পর্দায় এসেছেন মনোজ, ফলে দর্শকেরা খুব সহজেই গল্পের মধ্যে ডুবে গেছেন। মনোজের স্ত্রী আইআরএস কর্মকর্তা শ্রদ্ধা জোশি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেধা শংকর।
সিনেমার গল্পে দেখা গেছে ভারতের এক নিম্নবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছেন মনোজ। পরিবারকে সহযোগিতার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি ভাইয়ের সঙ্গে অটো চালাতেন তিনি। নবম ও দশম শ্রেণিতে ভালো ফল করতে পারেননি; দ্বাদশ শ্রেণিতে তো হিন্দি বাদে সব বিষয়ে ফেলও করেন। চড়াই উৎরাইয়ের পর দ্বাদশ শ্রেণিতে টেনেটুনে উত্তীর্ণ হন মনোজ। ভারতে আইপিএস কর্মকর্তার হতে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে হয়; সেই পরীক্ষা দিতে চাম্বুল থেকে দিল্লিতে পাড়ি দেন মনোজ। সেই সংগ্রামমুখর সময়েই মনোজের জীবনে আসে উত্তরাখন্ডের মেয়ে শ্রদ্ধা জোশি। তিনিও চাকরির পরীক্ষা দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন। আইআরএস কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি পান শ্রদ্ধা। তখনো চাকরির নাগাল পাননি মনোজ। তিনবারের চেষ্টায়ও উত্তীর্ণ হতে পারেননি মনোজ। শ্রদ্ধার অনুপ্রেরণায় চতুর্থবারের মতো পরীক্ষা দিয়ে চাকরিটা পেয়ে যান তিনি। মনোজের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি গত ২৭ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। ২৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে ডিজনি প্লাস হটস্টারে। মূলতঃ ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তির পর ভারতের বাইরের দর্শকের নজরে এসেছে ছবিটি। সিনেমাটি ইতিমধ্যে ৬০ কোটির বেশি রুপি ব্যবসাও করেছে। এই সিনেমার প্রশংসা করেছেন অভিষেক বচ্চনসহ বলিউডের অনেক নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পী।
রেডিওটুডে/এমএমএইচ