প্রচলিত খেলনাগুলো যখন দামের প্রতিযোগিতা ও একঘেয়েমির বৃত্তে আটকা, তখন চীন দেখাল নতুন পথ। দেশটির খেলনার দোকানের তাকে এখন জায়গা করে নিচ্ছে স্মার্ট শিক্ষামূলক খেলনার সেট। আন্তর্জাতিক বাজারও সময় থাকতে লুফে নিচ্ছে শিক্ষা ও বিনোদনের মেলবন্ধনে তৈরি ‘মেড ইন চায়না’ সিলযুক্ত এসব খেলনা।
এই উদীয়মান খাতে এগিয়ে আছে ফোশান সিটির জিকার। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে একটি রুবিকস কিউব দিয়ে যাত্রা শুরু করে। মাত্র ছয় বছরের মধ্যেই তাদের বার্ষিক পণ্য লেনদেনের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি ইউয়ানেরও বেশি।
প্রতিষ্ঠাতা শু চিমিং জানান, প্রচলিত খেলনা শিল্প যেখানে দ্রুত নতুন পণ্য বাজারে আনা ও বিতরণে জোর দেয়, সেখানে জিকার একটি পণ্য বাজারে আনতে এক থেকে দুই বছর সময় নেয়। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারযোগ্যতা ও উচ্চমান নিশ্চিত করা।
এই খাতের আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান গ্যানকিউব। ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করা কুয়াংতোংয়ের কোম্পানিটি স্মার্ট হার্ডওয়্যার, এআই অ্যালগরিদম ও আইওটি ইকোসিস্টেম নিয়ে তৈরি করছে খেলনা। স্মার্ট প্রতিযোগিতামূলক খেলনার বাজারে তাদের অংশীদারত্ব এখন প্রায় ২০ শতাংশ।
গ্যানকিউবের দ্রুত বিকাশের পেছনে রয়েছে ধারাবাহিক গবেষণা ও উৎপাদনে বিনিয়োগ। তাদের একাধিক উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে, যার মধ্যে ১৫ হাজার বর্গমিটারের বেশি আয়তনের একটি ডিজিটাল কারখানাও আছে।
চীনের স্মার্ট শিক্ষামূলক খেলনা শিক্ষার প্রতি ধারণা ও ভোক্তা আচরণের পরিবর্তনের প্রতিফলন। ‘খেলতে খেলতে শেখা’ যখন ক্রমেই সামাজিক রীতিতে পরিণত হচ্ছে, তখন এই বাজার আরও বেশি উদ্ভাবনের আকর্ষণীয় খাত হয়ে উঠছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

