শনিবার,

০৯ আগস্ট ২০২৫,

২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

শনিবার,

০৯ আগস্ট ২০২৫,

২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

Radio Today News

ঐকমত্য কমিশন আগামী সপ্তাহে দলগুলোর সঙ্গে আবারো বসবে: আলী রীয়াজ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ৮ আগস্ট ২০২৫

Google News
ঐকমত্য কমিশন আগামী সপ্তাহে দলগুলোর সঙ্গে আবারো বসবে: আলী রীয়াজ

সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং জুলাই সনদ মানার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আবারও আলোচনায় বসবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

শুক্রবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে কমিশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত এবং প্রত্যাশিত স্বাক্ষরিত সনদের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা দরকার। সেই লক্ষ্যে কমিশন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আলোচনা করবে।

জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের আলোচনায় কতটুকু অগ্রগতি হল, তা জানাতে অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তির দিনে এ সংবাদ সম্মেলন করল ঐকমত্য কমিশন।

আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গত দুই পর্বের আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সনদ প্রনয়নের লক্ষ্যে তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যক সুপারিশ বা সংস্কার ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য সম্ভব হয়েছে। আশা করা যায়, এই প্রক্রিয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

প্রথম ধাপের ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে সভাপতি হিসেবে আছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, আর সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন আলী রীয়াজ।

প্রাথমিক কাজ গুছিয়ে দলগুলোর সঙ্গে মার্চ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দুই ধাপের সংলাপ করে কমিশন।

দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শেষে সেদিন আলী রীয়াজ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ ও দলগুলোর মতামততের ভিত্তিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট পথ পদ্ধতি চিহ্নিত করতে হবে।

সবশেষ ৩ অগাস্ট সংসদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সভা হয়। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য হওয়া নানা বিষয় পর্যালোচনা করেন কমিশনের সদস্যরা। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঐকমত্য হওয়া প্রস্তাব বা সুপারিশগুলোর বিষয়ে কমিশন পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং সেই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে বসবে।

কমিশন বলছে, প্রথম পর্বের সংলাপে ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৬২টি বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে। যার কিছু কিছু সরকার এরইমধ্যে বাস্তবায়ন করেছে (অধ্যাদেশ, নীতি ও নির্বাহী সিদ্ধান্তে মাধ্যমে)।

দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ ২০টি সাংবিধানিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ১১টি বিষয়ে সবদলের সমর্থনে জাতীয় ঐকমত্য এবং বাকি ৯টি বিষয়ে অধিকাংশ দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, তাতে কোনো কোনো দলের ভিন্নমত উল্লেখ থাকবে।

প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ‘বিরূপ মনোভাবের কারণে’ ২৫টি বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলে আলী রীয়াজের ভাষ্য।

প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাজ শুরু করে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো কপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এরপর ৫ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে পাঁচটি কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের