মঙ্গলবার,

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

২৫ ভাদ্র ১৪৩২

মঙ্গলবার,

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

২৫ ভাদ্র ১৪৩২

Radio Today News

মেধাবীদের বিশ্বমণ্ডলে তুলে ধরতে উদ্যোগ নেবে সরকার: ড. ইউনূস

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:০৬, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Google News
মেধাবীদের বিশ্বমণ্ডলে তুলে ধরতে উদ্যোগ নেবে সরকার: ড. ইউনূস

মেধাবীদের বিশ্বমণ্ডলে তুলে ধরতে এবং আরও উৎসাহিত করতে সরকার উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের সহযোগিতা করা যায়, সেসব খতিয়ে দেখা হবে।

গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক গণিত ও জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে পদকজয়ী দেশের ছয় শিক্ষার্থী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে এলে এ কথা জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়। খবর বাসসের।

পদকজয়ী শিক্ষার্থীরা হলেন ৩৬তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৫ এ ব্রোঞ্জপদকজয়ী সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আরিজ আনাস, নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী হা-মিম রহমান ও মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী ফারাবিদ বিন ফয়সাল এবং ৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড-২০২৫ এ ব্রোঞ্জপদকজয়ী চট্টগ্রাম বাকলিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জিতেন্দ্র বড়ুয়া, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জাওয়াদ হামীম চৌধুরী ও ময়মনসিংহ জেলা স্কুলের শিক্ষার্থী তাহসিন খান।

সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ ও কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ এ মুনির হাসান, বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার ও কমিটির সাধারণ সম্পাদক বুয়েট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তারিখ আরাফাত।

ছয় শিক্ষার্থীর কাছে তাদের অভিজ্ঞতা শোনেন প্রধান উপদেষ্টা। তাদের কাছে সমস্যা সম্পর্কেও জানতে চান তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তোমাদের কথা শুনে খুবই আনন্দিত হলাম। তোমরা নিজেরা আগ্রহী হয়ে এত দূর এগিয়ে গেছ। তোমাদের উৎসাহ ও আগ্রহ থেকে আমরাও অনুপ্রাণিত হলাম।’
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘১১১ দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশের এক শিক্ষার্থী ম্যাথ অলিম্পিয়াডে গোল্ড পেয়েছে। এটা গর্বের।’

বৈঠকে অলিম্পিয়াড কমিটির কাছে তাদের অভিজ্ঞতা ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘এ বছর প্রথম রাউন্ডে সারাদেশ থেকে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী পাস করে পরের ধাপে উঠে আসে। পরের ধাপগুলোতে ঢাকায় এনে ক্যাম্পিং আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের প্রবলেম সলভিং ক্লাস করানো হয়। এভাবে ছয়জনকে চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক ম্যাথ অলিম্পিয়াডে পাঠানো হয়। আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে সাড়ে ৪ ঘণ্টা করে দুই দিন পরীক্ষা হয়।’

রেজিস্ট্রেশন ফি, থাকা-যাতায়াতসহ আনুষঙ্গিক সব খরচ ব্যক্তি উদ্যোগে জোগাড় করেন বলে জানান তিনি। অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, ‘একটি বেসরকারি ব্যাংক আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করলেও সেটি যথেষ্ট নয়।’ একই কথা জানান বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকার। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী বাছাইকরণ, পরীক্ষা, প্রস্তুতি সবকিছুই আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা নিজ উদ্যোগে করেন। নিজেরা চাঁদা তুলেই সব ব্যয় বহন করতে হয়।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা স্বেচ্ছায় এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন, কাজ করছেন এটা খুবই ইতিবাচক ঘটনা।’

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের