না ফেরার দেশে ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

শনিবার,

১১ অক্টোবর ২০২৫,

২৫ আশ্বিন ১৪৩২

শনিবার,

১১ অক্টোবর ২০২৫,

২৫ আশ্বিন ১৪৩২

Radio Today News

না ফেরার দেশে ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:০১, ১০ অক্টোবর ২০২৫

Google News
না ফেরার দেশে ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

বরেণ্য শিক্ষাবিদ, কথাসাহিত্যিক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ শনিবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজা শেষে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক এ শিক্ষক গত ৩ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে নেওয়া হয় ল্যাবএইড হাসপাতালে। সেখানে ভর্তির পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাতেই তার হার্টে দুইটি রিং পরানো হয়।

রোববার সন্ধ্যায় অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’ হলে সৈয়দ মনজুরুলকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা লাইফসাপোর্টে থাকার পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিলো। তবে পরে আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে পুনরায় লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। সবশেষ আজ বিকেল ৫টায় চিকিৎসকেরা লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ আমীরুল ইসলাম এবং মাতা রাবেয়া খাতুন। তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন সিলেট এমসি কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে। ১৯৮১ সালে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইয়েটস-এর কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব বিষয়ে পিএইচডি করেন।

তিনি সত্তরের দশকে লেখালেখি আরম্ভ করেছিলেন, এরপর স্বেচ্ছাবিরতির কারণে বাংলা কথাসাহিত্যে আত্মপ্রকাশ ঘটে আশির দশকে। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম নিয়মিত কলাম লিখেছেন/একদম শুরুর দিনে সংবাদ সাময়িকীতে, ‘অলস দিনের হাওয়া’ তাকে পরিচিত করে তোলে। প্রধানত বিদেশি সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের নিয়ে আলোচনা করতেন তিনি।

তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে— স্বনিরবাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৯৪), থাকা না থাকার গল্প (১৯৯৫), কাচ ভাঙ্গা রাতের গল্প (১৯৯৮), অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প (২০০১), প্রেম ও প্রার্থনার গল্প (২০০৫)। সুখদুঃখের গল্প, বেলা অবেলার গল্প।

উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে— আধখানা মানুষ্য (২০০৬) দিনরাত্রিগুলি, আজগুবি রাত, তিন পর্বের জীবন, যোগাযোগের গভীর সমস্যা নিয়ে কয়েকজন একা একা লোক, ব্রাত্য রাইসু সহযোগে, কানাগলির মানুষেরা।

প্রবন্ধ ও গবেষণাগ্রন্থ: নন্দনতত্ত্ব (১৯৮৬), কতিপয় প্রবন্ধ (১৯৯২)। অলস দিনের হাওয়া, মোহাম্মদ কিবরিয়া, সুবীর চৌধুরীর সহযোগে রবীন্দ্রানাথের জ্যামিতি ও অন্যান্য শিল্পপ্রসঙ্গ।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের