শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করতে এখনো ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের কবরস্থান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি-সংলগ্ন প্রবেশপথে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমে এলেও মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ছে। কেউ দূরে দাঁড়িয়ে নীরবে দোয়া করছেন, কেউ কবরের সামনে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। আবার কেউ কেউ স্মৃতির খাতিরে মোবাইলে ছবি তুলে রাখছেন—শোক আর ভালোবাসার মিশেলে পুরো এলাকা হয়ে উঠেছে ভারী ও আবেগপূর্ণ।
কবরস্থানের সামনের অংশে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর বলয় খুলে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শাহবাগ থানা ও টিএসসি এলাকায় স্থাপিত ব্যারিকেডও তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন স্থানে এখনো পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি কবরস্থানে প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত মসজিদের গেট ও বাইরের প্রধান ফটকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে কবরস্থানে পুলিশি প্রহরা অব্যাহত থাকবে। এ সময় ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবল বাইরের অংশ থেকেই মানুষ দোয়া করতে পারছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, রাতে এখানে পুলিশ প্রহরা থাকবে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আগামীকালও এই এলাকায় বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখা হতে পারে।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে শরিফ ওসমান হাদিকে দাফন করা হয়।
দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা পড়ান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

