
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটে অব্যবস্থাপনা এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন তিন প্যানেলের তিন হেভিওয়েট প্রার্থী।
স্বতন্ত্র ঐক্যজোটের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের পোলিং এজেন্টদের পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যেসব এজেন্টদের আমরা মেয়েদের হলে দিয়েছি, তাদের ছেলেদের হলে দেওয়া হয়েছে। যাকে ছেলেদের হলে দিয়েছি তাকে মেয়েদের হলে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সকালে সমাধান করবে বললেও করেনি। আমরা সকালে এসে দেখি বিশৃঙ্খল অবস্থা। পরে আমাদের বিষয়টি সমাধান করতে হয়েছে।’
উমামা ফাতেমা আরও বলেন, যেসব পোলিং এজেন্টকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তারা কী কারণে বাদ পড়লেন, সেটা আমাদের অবশ্যই জানানো উচিত। কারণ পোলিং এজেন্টরা ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকবেন। ওই সময় কোনো পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠলে আমরা সেটি জানাব।
তিনি বলেন, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা কম, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় ধরে সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ভোটাররা ফোন ও ব্যাগ রাখার জায়গা পাচ্ছেন না। এ ছাড়া স্যালাইন আর পানি রাখার কথা ছিল। সেই ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন।
ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ তাদের পোলিং এজেন্টকে বের করে দিয়ে ছাত্রদলের পোলিং এজেন্টকে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এ ধরনের আচরণকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দ্রুত পদক্ষেপ না নিয়ে প্রশাসনের নীরব ভূমিকা দুঃখজনক’।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদেরও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন। মঙ্গলবার দুপুর তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, নির্বাচন কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভাগাভাগি করে শিবির ছাত্রদলকে নির্বাচনে কারচুপি করতে, অনিয়ম করে সহযোগিতা করেছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম