শনিবার,

১৬ আগস্ট ২০২৫,

৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

শনিবার,

১৬ আগস্ট ২০২৫,

৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

Radio Today News

মৃত্যুর পর মৃতব্যক্তির সাথে কি কি ঘটে? জেনে নিই চলুন

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৫২, ৯ অক্টোবর ২০২২

Google News
মৃত্যুর পর মৃতব্যক্তির সাথে কি কি ঘটে? জেনে নিই চলুন

ফাইল ছবি

জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু অনিবার্য। আমরা সকলেই জানি কখনো না কখনো আমাদের সবাইকে এই সুন্দর দুনিয়া ছেড়ে যেতে হবে অন্ধকারাচ্ছন্ন কবরের ঘরে।

আজকের আলোচনায় আমরা মৃত ব্যক্তির সাথে ঘটে যাওয়া বা যে ঘটনাসমূহ ঘটে থাকে সেসব বিষয় জানাবো। সকলেই মনোযোগ সহকারে পড়বেন কারণ এই বিষয়ে জ্ঞান রাখা আমাদের ইসলামী শরীয়তে আবশ্যক ও অতীব জরুরী।

"ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন"!!! এই কথাটির মাধ্যমে জানা যায় যে, কোন একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।  আর এই একটি কথার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির ইহকাল জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে পরকালের পথ শুরু করে, যার কোন শেষ নেই ।

এখন চলুন জেনে আসি,  মৃত ব্যক্তিরা কিভাবে বুঝতে পারে যে তারা মারা গেছেন??

প্রথমত মৃত ব্যক্তিরা বুঝতে পারে না যে সে মারা গেছে। ব্যক্তির মৃত্যুর পরে আত্মীয়স্বজনের কান্নাকাটি, গোসল, কাফন পরানো ইত্যাদি এমনকি তাকে কবরস্থ করার আগ পর্যন্ত সে মনে করে মৃত্যুর স্বপ্ন দেখছে ।

এমতাবস্থায়, সে চিৎকার করে সাহায্যের জন্য বা তার স্বপ্ন ভাঙ্গানোর জন্য কিন্তু আফসোস এই চিৎকার বা আর্তনাদ কোনটি অন্য কারো কানে পৌছায় না। আর এটি হল নির্মম সত্য যা মৃত্যুর পরবর্তীতে মৃত ব্যক্তির সাথে ঘটে থাকে।

পরবর্তীতে যখন সবাই দাফনের কার্য সম্পন্ন করে বিদায় নেয় মৃত ব্যক্তি একা হয়ে যায়, ঠিক তখনই মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর আত্মাকে পুনরুদ্ধার করেন। এবং আল্লাহর নির্দেশে তার এই খারাপ স্বপ্ন ভাঙ্গে।  প্রথমত মৃত ব্যক্তি এটি ভেবে নেয় যে হয়তো তার খারাপ স্বপ্ন শেষ  এবং সে ঘুম থেকে জেগে উঠেছে ভেবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। 

এরপর সে তার শরীর স্পর্শ করতে থাকে যা কিনা সবেমাত্র দাফন করা হয়েছে। তখন সে বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করে যে, আমার জামা কোথায়, তারপর তিনি বলেন আমি কোথায়, এই স্থানটি কোথায়, সর্বত্র কাদা-মাটি ময়লার গন্ধ আমি এখানে কি করছি?

তারপরই সে হঠাৎ বুঝতে পারে যে তার দেখা স্বপ্ন সত্যি ছিল। হ্যাঁ, সত্যিই তিনি এখন মৃত এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে। কি অদ্ভুত তাই না?

অতঃপর  তিনি তার প্রাণ-প্রিয় আব্বা আম্মা বা নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজনকে চিৎকার করে ডাকতে থাকে তার সাহায্যের জন্য কিন্তু যা পরিপূর্ণরূপে বৃথা চেষ্টা মাত্র।  কেউ তার ডাক শুনবে না আর এটাই হলো ইসলামের শরীয়ত।

ঠিক এই মুহূর্তে তার মনে পড়ে যে এই সময় একমাত্র আল্লাহ ভরসা। তাই তিনি তখন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন।

"ইয়া আল্লাহ" " ইয়া রব" আমাকে ক্ষমা করুন। সে এমন ভাবে আর্তনাদ শুরু করে এক অবিশ্বাস্য ভয়ে যা সে তার জীবদ্দশায়  কখনো অনুভব বা চিন্তাও করেনি।

যদি সে একজন ঈমানদার মুমিন হয় তবে তার ভয় দূরীভূত করতে দুজন ফেরেশতা তাকে সান্তনা দিতে থাকবে এবং তার সর্বোত্তম সেবা করবে।
আর যদি সে খারাপ ব্যক্তি হয় তবে তার ভয় দ্বিগুণ অনুভূত হবে দুজন ফেরেশতা তার ভয়ের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দেবে এবং তাকে নির্মমভাবে কুৎসিত কাজ অনুযায়ী নির্যাতন শুরু করবে।

 হে মহান রাব্বুল আলামিন, আমাদের সকল গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন ইসলামের বিধান অনুযায়ী কাজ করার তৌফিক এবং ঈমানের সাথে পরকালে পাড়ি দেওয়ার জন্য  নসিব দান করুন।
(আমিন )।

এস আর

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের