সাত গোলের কথা হলে স্মৃতিতে ভাসে ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ও জার্মানির ম্যাচ। সেবার সেলেসাওদের জালে ৭ বার বল ঢুকিয়েছিল জার্মানি। যা ফুটবল ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ‘সেভেন আপ’ নামে পরিচিত। এবার সেই ঘটনা আবারও ফিরল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মাঠে। যেখানে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এর আগে আরও দুইবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের সেই দুই ম্যাচে পার্থে ০-৫ আর ঢাকায় ০-৪ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার ফিফা ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ঠিক জয়ের প্রত্যাশা না করলেও ভালো খেলার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। তবে তা হয়নি। উল্টো সকারুজদের বিপক্ষে সাত সাতটি গোল হজম করেছে জামাল ভূঁইয়ারা।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) মেলবোর্নের অ্যামি পার্কে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকেই জাল কাঁপিয়েছে স্বাগতিকেরা, যা ম্যাচের শেষ পর্যন্তই অব্যাহত রেখেছে। পুরো ম্যাচে পাত্তাই পায়নি সফরকারীরা। প্রথমার্ধে ৩ গোল ও দ্বিতীয়ার্ধে ৪ গোল দেয় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে স্বাগতিরদের লিড এনে দেন হ্যারি সাউটার। ক্রেগ গুডউইনের ফ্রি কিক থেকে আলতো হেডে কোনাকুনিভাবে লক্ষ্যভেদ করেন সাউটার। গোল হজমের পর কিছুটা কাউন্টার অ্যাটাকে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ। তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। উল্টো বারবার ডি-বক্সেই আটকে গেছেন রাকিব-ফয়সালরা।
এরপর ম্যাচের ২০তম মিনিটে লিড বাড়ায় সকারুরা। কনর ম্যাটকাফের ক্রসে নিখুঁত এক ভলিতে দলকে এগিয়ে নেন ব্র্যান্ডন বোরেল্লো। পরে ম্যাচের ৩৭ ও ৪০তম মিনিটে সহজেই মিতুলকে হার মানান ডিউক। এরপর আর কোনো গোল না হলেই ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজেরা। বিরতি থেকে ফিরেই বাংলাদেশের জালে বল পাঠান ম্যাকলারেন। এরপর ম্যাচের ৭০ ও ৮৪তম মিনিটে আরও দুটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি।
ম্যাচের শেষ দিকে দুই হালি পূরণ করার সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে দুর্দান্ত এক সেভে সকারুজদের হতাশ করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হলে ৭-০ ব্যবধানের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজেরা।
রেডিওটুডে/এমএমএইচ