শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

পরীমনির মুক্তির দাবিতে আবারও নাগরিক সমাবেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:০২, ২৩ আগস্ট ২০২১

আপডেট: ১৫:১৫, ২৩ আগস্ট ২০২১

Google News
পরীমনির মুক্তির দাবিতে আবারও নাগরিক সমাবেশ

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনির মুক্তি দাবি করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা। বারবার রিমান্ডে নিয়ে তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

‘বিক্ষুব্ধ নাগরিকজন’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে ‘পরীমণির জন্য ন্যায়বিচার চাই’ শিরোনামে এই আয়োজনটি শুরু হয় রোববার বিকেল ৪টায়। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ফটকের সামনে এই সমাবেশে যোগ দেন চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী, কবি ও অ্যাক্টিভিস্টরা। এতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা বক্তব্য দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক পরীমণি। তিনি সাংবিধানিক সকল অধিকার পাওয়ার যোগ্য। আমরা বিভিন্ন আইন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, পরীমণির বিরুদ্ধে যে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তা জামিনযোগ্য। কিন্তু তাকে জামিন না দিয়ে বারবার রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। তিনি মিডিয়া ট্রায়াল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

ভিডিওবার্তায় ক্ষোভ জানান একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির।

ভিডিওবার্তায় মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, ‘যে ধরণের নাটক তৈরি করা হয়েছে, যেভাবে আমাদের গিলানো হচ্ছে, তা যে কতটা বানোয়াট সেটা আমরা বুঝি। আমরা অতটা বোকা না। আজকে সেটা স্পষ্টভাবে চলে আসছে। পরীমণিকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যেভাবে আদালতে আনা হয়েছে, তাতে আমাদের দেশের সম্মানহানি হয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। আজকে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের আদালতে ডাকা হয় না, খুনির আসামি রেহাই পায়। অথচ পরীমণিকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, পরীমণি কি মাফিয়া লিডার? পরীমণি কি কাউকে হত্যা করেছে? পরীমণি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল, পরীমণি গলা উঁচু করে কথা বলেছিল, এটাই তার দোষ! বাংলাদেশের বড় বড় অপরাধী, দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে একজন শিল্পীর পেছনে কেন লাগা হয়েছে সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। এদেশের একজন নারী ও নাগরিক হিসেবে তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। পরীমণি বাড়িতে মদ খাবেন না বিষ খাবেন এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়ে কারো নাক গলানোর অধিকার কাউকে দেননি পরীমণি।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের