বুধবার,

২১ মে ২০২৫,

৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বুধবার,

২১ মে ২০২৫,

৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Radio Today News

কীটনাশকের ব্যবহারে মৌমাছি বিপন্নের পথে

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ২১ মে ২০২৫

Google News
কীটনাশকের ব্যবহারে মৌমাছি বিপন্নের পথে

কীটনাশকের ব্যবহারে মৌমাছি বিপন্নের পথে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে খাদ্যের মান ও পরিমাণের ওপর। পৃথিবীতে মৌমাছিসহ অন্য যেসব পতঙ্গ পরাগায়নে ভূমিকা রাখছে, সেসব প্রাণীকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহারে মৌমাছি, নিরাপদ খাদ্য ও পরিবেশ রক্ষায় ঝুঁকি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। বিশ্ব মৌ দিবসে শিসউক, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বাপা, বিসেফ ফাউন্ডেশন এবং নর্থ বেঙ্গল হানি কমিউনিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজক। 

অনুষ্ঠানে ভিডিওতে মৌচাষে ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হয়। সিরাজগঞ্জের মৌচাষি আব্দুর রশিদ মণ্ডল জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে তাঁর খামারের ১৬০টি বাক্সে বিষ প্রয়োগে মৌমাছিগুলো মারা যায়, যার ক্ষতি প্রায় ৬ লাখ টাকা। এতে তরুণরা মৌচাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। সচেতনতা ছাড়া এ শিল্প টিকবে না। নর্থ বেঙ্গল হানি কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজের জাহাঙ্গীর আলম জানান, পৃথিবীর ৮৬% পরাগায়ন মৌমাছির মাধ্যমে হয় এবং বর্তমানে ৬টি মৌজাতির মধ্যে ৪টি বিলুপ্তির পথে। বিসেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. জয়নুল আবেদীন জানান, আগে কৃষিবিদরা কীটনাশকের পক্ষে থাকলেও এখন তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। 

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি নূর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, দেশে কীটনাশক প্রয়োগের সঠিক নিয়ম মানা হয় না। তিনি যথাযথ রেজিস্ট্রেশন, মৌসুমি সংরক্ষণ এবং আবহাওয়া বিবেচনায় কীটনাশক প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেন।

পল্লী উন্নয়ন একাডেমির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশে মৌচাষকে শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্যোগ ও সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। অতিরিক্ত কীটনাশকে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, ফলন কমছে এবং মৌমাছির প্রজন্ম দুর্বল হচ্ছে। তিনি বলেন, মানসম্মত দেশীয় মধু উৎপাদনে মনোযোগ দিলে তা রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের