
কথোপকথনের একাংশে ছিল বেশ কিছু র্যাপিড ফায়ার। চটজলদি উত্তর দিতে হতো অভিনেত্রীকে। বাছাই করা বেশ কিছু মজাদার প্রশ্নে দিলেন উত্তর, তেমনই এক প্রশ্ন ছিল, ‘শেষ কোন মিথ্যে কথা শুভশ্রী বলেছেন?’
ঋতুপর্ণর সঙ্গে কাজ করতে না পারা, আক্ষেপের নয়। নিয়তিতে বিশ্বাস করেন।‘গৃহপ্রবেশ’ তাঁর কাছে ঋতুপর্ণর সঙ্গে সেই যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বছরের সবচেয়ে ব্যস্ততম নায়িকা। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ‘ক্রেমাবোন ক্যাফে’তে শুভশ্রীর পরনে যে শাড়ি ছিল, তার রং অভিনেত্রী বললেন ‘লাইল্যাক’। ব্যস্ততম নায়িকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর্ব যত এগতে থাকল, আনফিল্টার্ড শুভশ্রী খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল।
প্রশ্ন ছিল ‘পরান যায় জ্বলিয়া রে’র মতো ছবি করতে চাইবেন কি শুভশ্রী? যা একেবারে ‘massy’ ছবি। নাচগানে ভরপুর। শুভশ্রী বললেন, ‘আপনি যে ছবির কথা বলছেন অর্থাৎ ‘পরান যায় জ্বলিয়া রে’ একেবারে পারফেক্ট এগজ্যাম্পল। ছবিতে অ্যানা, যে চরিত্রটি ছিল। সেটা অনেক বড় ছিল। অনেক কিছু করার ছিল। ‘পরান যায়’-এর মতো বিষয় নিয়ো কোনও ছবি আমার কাছে আসে, নিশ্চয়ই করব।’ এখানেই থামলেন না শুভশ্রী, ‘আমি ওই ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে বিলং করি। আমায় এক্ষুণি যদি ‘ঝিঙ্কু নাকুড়‘ গান চালিয়ে দাও, আমি ঠিক আগের মতো এনার্জি কিংবা তার থেকেও বেশি এনার্জিতে নাচতে পারব! কিন্তু আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ গল্প এবং সে গল্পে নারী চরিত্রটি কতটা বিশেষ হয়ে উঠছে। শুধু চারটে গানের জন্য একাট বাণিজ্যিক ছবি করতে পারব না!’
কথোপকথনের একাংশে ছিল বেশ কিছু র্যাপিড ফায়ার। চটজলদি উত্তর দিতে হতো অভিনেত্রীকে। বাছাই করা বেশ কিছু মজাদার প্রশ্নে দিলেন উত্তর, তেমনই এক প্রশ্ন ছিল, ‘শেষ কোন মিথ্যে কথা শুভশ্রী বলেছেন?’ উত্তরে শুভশ্রী বললেন, ‘অনেকে জিজ্ঞেস করে, শুভশ্রী তুমি রেগে যাও? আমি একটা বিষয়তে রাগ হয়। যদি কেউ আমায় মিথ্যে বলে, বা ম্যানিপুলেট করে, যা আমার একেবারে অপছন্দ, তা আমাকে কেউ কিছু করে বা বলে করাতে পারবে না। কিন্তু মিথ্যে কথা আমি বলি, তবে সেটা কারও ক্ষতি করতে নয়। ভাল মিথ্যে কথা।’ শুভশ্রী আরও বিশদে বলেন, ‘ছেলে বলল, মা আইসক্রিম খাব, আমি তখন বলি হেলদি আইসক্রিম। সুগারফ্রি আইসক্রিম ওদের দিই। তখন খেয়ে বলে, সুগারটা একটু কম লাগছে। তখন বলি, এটায় সব থেকে বেশি সুগার দেওয়া থাকে। এরকম ছোট ছোট অনেক মিথ্যে কথা আমি বাচ্চাদের বলি।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম