
নগর বাউল জেমস
তিনি কখনো নগরবাউল, কখনো রকস্টার আবার কখনো সঙ্গীতপাগল জেমস। তার পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস।
নগরবাউল জেমস নামে দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি অধিক পরিচিত। ২ অক্টোবর আজ তার জন্মদিন। সঙ্গীতের এই কালপুরুষ ৫৭ বছর বয়সে পা রেখেছেন আজ।
নওগাঁয় জেমসের জন্ম হলেও বাবার চাকরিসূত্রে তিনি বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে। সরকারি চাকরিজীবী বাবা চট্টগ্রাম ছাড়লেও থেকে যান জেমস। আজিজ বোর্ডিং-এর এক ছোট রুমে শুরু এ রকস্টারের সংগ্রাম।
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ফিলিংস’ নামক একটি ব্যান্ড। ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট ছিলেন জেমস নিজেই। তার প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশ পায় ১৯৮৭ সালে। পরে ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের অ্যালবাম রিলিজ করে সুপারহিট হয়ে যান জেমস। এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অফ ফিলিংস’ অ্যালবামগুলো ফিলিংস ব্যান্ড থেকে বের হয়।
জেমসের অন্যান্য অ্যালবামগুলো হল নগর বাউল থেকে ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলি’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করোনা’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’, ‘কাল যমুনা’।
তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন। ‘দেশা দ্য লিডার’, ‘সত্তা’ ছবির জন্য গান করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
বাংলা গানের পাশাপাশি হিন্দি গানে কণ্ঠ দিয়েও জয় করেছেন লাখো ভক্ত-শ্রোতার হৃদয়। বলিউডে তার গাওয়া ‘ভিগি ভিগি’ (গ্যাংস্টার), ‘চল চলে’ (ও লামহে) এবং ‘আলবিদা’, ‘রিস্তে’ (লাইফ ইন অ্যা মেট্টো), ‘বেবাসি’ (ওয়ার্নিং)গানগুলো উল্লেখযোগ্য।
বর্তমানে নীরবে নিভৃতেই কাটে তার দিন। নিজের মতো করে থাকেন, গান করেন। নিজেকে তৈরি করেন দেশ-বিদেশে স্টেজ শোগুলোর জন্য। জেমসের স্ত্রীর নাম বেনজির সাজ্জাদ। তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে দানেশ। দুই মেয়ে জান্নাত ও জাহান।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি