মাইকেল ফ্যারাডে
একজন বৃটিশ রসায়নবিদ ও পদার্থ বিজ্ঞানী, যিনি তড়িৎ চৌম্বকীয় তত্ত্ব এবং তড়িৎ রসায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূণ অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে পদার্থবীদ, রসায়নবীদ ও তড়িৎ প্রকৌশলী। আধুনিক বিজ্ঞানের ইতিহাসে এই বিস্ময়কর প্রতিভাবান মানুষটি মাইকেল ফ্যারাডে।
আলোক রশ্মির উপর চুম্বক তত্ত্বের প্রভাব এবং আলো ও চুম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে যে সম্পর্ক তা প্রথম উদঘাটন করেন ফ্যারাডে। এই গবেষনার উপর ভিত্তি করে তিনি আবিষ্কার করেন ডায়নামো। আজ থেকে প্রায় দুইশ’ বছর আগে তার আবিষ্কৃত ‘আলোকের উপর চৌম্বকের প্রভাব’ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিয়ে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
কামার পিতার সন্তান মাইকেল ফ্যারাডের ছোট বেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল বিজ্ঞান বিষয়ক বইয়ের প্রতি। এই আগ্রহের জায়গা থেকে নিজের হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে এবং অন্যের ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে নিজ বাসায় ক্ষুদ্র একটি গবেষণাগার তৈরি করেন; যা মাইকেল ফ্যারাডের ভবিষ্যৎ ভিত গড়ে দেয়।
১৮১৫ সালে ফ্যারাডে বৃটিশ রয়্যাল ইন্সটিটিউটের একজন গবেষক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ক্লোরিন গ্যাসের তরলীকরণ ও তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্র আবিষ্কার করেন।
১৮৪১ সালে ফ্যারাডে আবিষ্কার করলেন তার যুগান্তকরী তত্ত্ব ‘আলোকের উপর চৌম্বকের প্রভাব’। এরই ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে মানুষ লাভ করে তারবিহীন বেতার ও টেলিগ্রাফ যোগাযোগ। ফ্যারাডে একে একে আবিষ্কার করলেন বৈদ্যুতিক মোটর, বৈদ্যুতিক জেনারেটর, বুনসেন বার্ণার, ইলেক্ট্রোলাইসিস, ইলেক্ট্রোপ্লেটিং সহ আরও অনেককিছু। তাছাড়া আজ আমরা যে বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছি তা ছিল মূলত ফ্যারাডেরই আবিষ্কার।
১৭৯১ সালের আজকের এই দিনে ইংল্যান্ডের নিউইংটন বাটসে জন্মগ্রহন করেন মাইকেল ফ্যারাডে। আর প্রয়াত হন, ১৮৬৭ সালের ২৫ আগস্ট। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ক্ষণজন্মা এই বিজ্ঞানীকে স্মরন করছি গভীর শ্রদ্ধায়।
রেডিওটুডে নিউজ/জেএফ