বিদায়টা সুখকর হলো না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের। টানা তিনবছর দাপটের সঙ্গে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করলেও শেষ সময়ে এসে বেশ বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।
বিদায়ের আগ মুহূর্তে এডহকে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী ও পদোন্নতি দেওয়ার উদ্যোগ নেন বিদায়ী উপাচার্য। এ জন্য সিন্ডিকেট সভা করতে চান। কিন্তু বাধ সাধে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। তাদের চরম বিরোধীতার মুখে শেষ পর্যন্ত সিন্ডিকেট সভা করতে পারেননি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পিছু হটতে বাধ্য হন এই উপাচার্য।
আজ বুধবার ছিল তার শেষ দিন। সকাল সাড়ে আটটায় অফিসে আসেন ও বিকেল সাড়ে তিনটায় বের হয়ে যান। এ সময় কিছু রুটিন কাজ করেন। তবে শেষ কর্মদিবস উপলক্ষে বা বিদায় জানাতে তার কক্ষে ছিল না ভিড়, কোনো আনুষ্ঠানিকতা। এতদিন যারা ঘিরে ছিলেন তাকে, সেই চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেককেই দেখা যায়নি তার আশপাশে।
আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবেন এই উপাচার্য। এদিন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে বর্তমান উপাচার্যের বিদায় ও নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আরেকদফা সময় বাড়ছে- এমন আশায় ছিলেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। কিন্তু গত ৪ মার্চ প্রথম খবর আসে নতুন উপাচার্য হচ্ছেন অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক। এরপর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের। ১১ মার্চ নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয় ডা. শারফুদ্দিনের। এতদিন আড়ালে আবডালে থাকা চিকিৎসকরা উপাচার্যের সময়কার নিয়োগ ও পদোন্নতি বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে মাঠে নামে। নেতৃত্ব দেয় স্বাচিপ। বিদায়ের আগে কোনো নিয়োগ বা পদোন্নতি দিতে পারবেন না- এই দাবিতে শক্ত অবস্থান নেন স্বাচিপের চিকিৎসকরা।
রেডিওটুডে/এমএমএইচ