
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আজ (বৃহস্পতিবার) বেইজিংয়ের মহাগণভবনে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তা এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইনের সাথে সাক্ষাত্ করেন। তারা দু’জন ২৫তম চীন-ইইউ নেতাদের বৈঠকে যোগ দিতে চীনে রয়েছেন।
সাক্ষাত্কালে সি বলেন, এই বছর চীন এবং ইইউর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী। চীন-ইইউ সম্পর্ক আবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, “চীন এবং ই ইউর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে বিনিময় এবং সহযোগিতা ভালো ফলাফল অর্জন করেছে, যা উভয়পক্ষ, এমনকি বিশ্বকে উপকৃত করেছে। এর গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা এবং অনুপ্রেরণা হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মতবিরোধ পাশে রেখে মতৈক্য অন্বেষণ করা, উন্মুক্ত সহযোগিতা, পারস্পরিক সুবিধা এবং জয়-জয় ফলাফল। এটি চীন-ইইউ সম্পর্কের ভবিষ্যতের উন্নয়নে মেনে চলা একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি এবং দিকনির্দেশনাও। বিশ্বে শতাব্দীতে অদেখা দ্রুত পরিবর্তন এবং বিশৃঙ্খলার মধ্যে পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে, চীন এবং ইইউর নেতাদের আবারও তাদের দূরদর্শিতা এবং দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করা উচিত এবং জনগণের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ইতিহাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এমন সঠিক কৌশলগত বাছাই করা উচিত।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীন এবং ইইউ উভয়ই গঠনমূলক শক্তি, যা বহুপাক্ষিকতা এবং উন্মুক্ত সহযোগিতার পক্ষে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যতই তীব্র এবং জটিল হবে, চীন এবং ই ইউ’র যোগাযোগকে তত বেশি শক্তিশালী করে তোলা উচিত, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি করা উচিত এবং সহযোগিতা আরও গভীর করা উচিত, যাতে একটি স্থিতিশীল এবং সুস্থ চীন-ইইউ সম্পর্ক দিয়ে বিশ্বকে আরও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চিয়তা প্রদান করা যায়।
সি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে চীন এবং ইইউ উভয়ই ‘বড় পক্ষ’। আমাদের অবশ্যই চীন-ই ইউ সম্পর্কের উন্নয়নের সঠিক দিকটি দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে চীন-ইইউ সম্পর্কের আরও উজ্জ্বল পরবর্তী ৫০ বছর সৃষ্টি করতে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট সি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম