
ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও বাকযুদ্ধ যেনো থেমে নেই। এবার ভারতের সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা শাখার মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের আইভান ডি’কুনহা দাবি করেছেন, পাকিস্তানের পুরো ভূখণ্ড ভারতের হামলার সীমার মধ্যে রয়েছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তিনি ভারতের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন। ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সোমবার (১৯ মে) এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি’কুনহা দাবি করেন, “পাকিস্তানের পুরো ভূখণ্ডই আমাদের হামলার আওতায়। ওরা যদি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার (জিএইচকিউ) রাওয়ালপিন্ডি থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়া-তে সরিয়েও নেয়, তাহলেও ওদের অতল গহ্বরে আশ্রয় নিতে হবে।”
জেনারেল ডি’কুনহা বলেন, “ভারতের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র ও প্রযুক্তি রয়েছে, যার মাধ্যমে পাকিস্তানের সবচেয়ে গভীর প্রান্তেও আঘাত হানা সম্ভব। সীমান্ত হোক বা দেশের (ভারতের) অভ্যন্তর থেকে—ভারত যেকোনও জায়গা থেকে হামলা চালাতে প্রস্তুত।”
এসময় ডি’কুনহা দাবি করেন, “আমাদের প্রধান কাজ হলো দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণকে রক্ষা করা। শত্রুপক্ষ যেসব হামলা চালাতে চেয়েছিলো জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল বা সেনানিবাসের ওপর—সেগুলোর বিরুদ্ধে সফল প্রতিরোধ গড়ে তোলা আমাদের বড় অর্জন।”
এসময় তিনি আরও দাবি করেন, সেনানিবাসে বহু সেনা, অফিসার ও তাদের পরিবার থাকেন। ড্রোন হামলার আশঙ্কায় তারা আতঙ্কিত ছিলেন। এই অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সেনা, তাদের পরিবার এবং গোটা দেশ গর্বিত।
উল্লেখ্য, গত ৬ ও ৭ মে রাতে ভারত পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। মূলত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারানো ২৬ জন বেসামরিক নাগরিকের জন্য প্রতিশোধ নিতে ভারত এই হামলা চালায় যেখানে তারা দাবি করে শুধুমাত্র বেঁছে বেঁছে সন্ত্রাসী স্পটগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে। ভারতের এই হামলার জবাবে পাকিস্তান দ্রুত ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায়।
এর কয়েকদিনের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি। ভারত-পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। মূলত পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা সাম্প্রতিক যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ ছিলো।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম