
চলতি মাসেই দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে একটি ঘূর্ণঝড়। আবহাওয়াবিদদের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৯ মে বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এটির নাম হবে মন্থা (Mon-Tha)।
তবে এখনই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি কোন উপকূলের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে, সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা। এর শক্তি সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারেননি তারা। তবে দু-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি জানা যাবে।
বেসরকারি আবহাওয়াবিষয়ক ওয়েবসাইট আবহাওয়া ডট কমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এক ফেসবুক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে যাচ্ছে—এই বিষয়ে বিশ্বের প্রধান প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো একমত।
আগামী ২৭ মে লঘুচাপ, ২৮ মে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ এবং ২৯ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে মন্থা (Mon-Tha)। মন্থা (Mon-Tha) নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে পলাশ বলেন, বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার পূর্বেই আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে, যার নাম হবে শক্তি (Shakhti)।
শক্তি (Shakhti) নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া। সাম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় মন্থা (Mon-Tha) আগামী ২৮ মে মধ্যরাতের পর থেকে ২৯ মের মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূল ও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের মধ্যবর্তী যেকোনো স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপ সৃষ্টি হবে সেটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের জন্য শঙ্কার কোনো কারণ হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, প্রতিবছর বর্ষার আগে একটি নিয়মিত ঘটনা।
চলতি মাসের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ শক্তি সঞ্চয়ের আগেই শুরু হচ্ছে বর্ষা। ফলে এই ঘূর্ণিঝড় খুব বড় হওয়ার শঙ্কা কম।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম