
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, তাদের পরিদর্শকরা সিরিয়ার একটি স্থানে ইউরেনিয়ামের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন। এটিকে প্রাক্তন সরকারের গোপন পারমাণবিক কর্মসূচির অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অধীনে সিরিয়া একটি 'বিস্তৃত পারমাণবিক কর্মসূচি' পরিচালনা করত বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে পূর্ব দেইর এজোর প্রদেশে উত্তর কোরিয়ার নির্মিত একটি অঘোষিত পারমাণবিক চুল্লি অন্তর্ভুক্ত।
সিরিয়ার সাম্প্রতিক বিষয়াদির ওপর একটি প্রতিবেদনে গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি পরিচালনা পর্ষদের কাছে এই তথ্যগুলো জানিয়েছেন।
আইএইএ পরিদর্শকরা দেইর এজোর সাইটের সঙ্গে তিনটি স্থানে পরিবেশগত নমুনা এবং সংগ্রহ করেছিলেন। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সংস্থার মুখপাত্র ফ্রেডরিক ডাহল এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'বিশ্লেষণে তিনটি স্থানের একটিতে নেওয়া নমুনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নৃতাত্ত্বিক প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম কণা প্রকাশ পেয়েছে।'
২০০৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যের পারমাণবিক অস্ত্রধারী ইসরায়েল দেইর এজোর প্রদেশের পারমাণবিক স্থাপনাটিতে হামলা চালিয়েছিল। মূলত এরপর স্থাপনাটি জনসাধারণের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। সিরিয়ার নতুন সরকার বর্তমানে স্থানটি বন্ধ করে দিয়েছে।
গত বছর আসাদ ক্ষমতায় থাকাকালীন আইএইএ'র একটি দল কিছু স্থান পরিদর্শন করে। আসাদের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সংস্থাটির সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয় এবং পরিদর্শকরা সেই স্থানে প্রবেশ করে, যেখানে ইউরেনিয়াম কণা পাওয়া গেছে।
রাফায়েল গ্রোসি এর আগে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছিলেন, সিরিয়ার কিছু কার্যকলাপ 'সংস্থার বিচারে সম্ভবত পারমাণবিক অস্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।'
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম