শান্তি আলোচনার মাধ্যেই সীমান্তে সংঘর্ষে পাকিস্তানি পাঁচ সেনাসহ নিহত ৩০

সোমবার,

২৭ অক্টোবর ২০২৫,

১১ কার্তিক ১৪৩২

সোমবার,

২৭ অক্টোবর ২০২৫,

১১ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

শান্তি আলোচনার মাধ্যেই সীমান্তে সংঘর্ষে পাকিস্তানি পাঁচ সেনাসহ নিহত ৩০

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ২৩:৩৩, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

Google News
শান্তি আলোচনার মাধ্যেই সীমান্তে সংঘর্ষে পাকিস্তানি পাঁচ সেনাসহ নিহত ৩০

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চলমান শান্তি আলোচনার মাঝেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ভয়াবহ সংঘর্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য ও ২৫ জঙ্গি নিহত হয়েছেন। রোববার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
গত কয়েক বছরের মধ্যে দুই প্রতিবেশী দেশের মাঝে প্রাণঘাতী লড়াইয়ের অবসানে ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনার মাঝে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্ত এলাকায় নতুন করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

পাকিস্তানের আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার আফগানিস্তানের ভূখণ্ড থেকে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের কুররাম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন জঙ্গিরা। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের দুর্গম ওই এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর বাধায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা নস্যাৎ হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের এই চেষ্টা আফগানিস্তান সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে। বিশেষ করে আফগান ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও এই ধরনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তবে এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তালেবান বরাবরই জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, পাকিস্তানের আন্তঃসীমান্ত সামরিক অভিযান আফগান সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘনের শামিল।

চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর নতুন করে যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা বর্তমানে ইস্তাম্বুলে বৈঠক করছেন। ২০২১ সালে তালেবান কাবুল দখলের পর প্রতিবেশী দুই দেশের মাঝে এটাই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘাত।

সম্প্রতি জঙ্গি হামলায় ২৩ জনের বেশি সৈন্যের প্রাণহানির ঘটনার পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও অন্য আরেকটি প্রদেশে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এরপর দুই পক্ষের সৈন্যরা পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়িয়ে পড়ে। সংঘাতের অবসানে গত রোববার দোহায় দুই দেশের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

শনিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, যুদ্ধবিরতি এখনও কার্যকর আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তান শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইস্তাম্বুলে যদি কোনও চূড়ান্ত সমঝোতা না হয়, তাহলে আফগানিস্তানের সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হবে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, শুক্রবার ও শনিবারের হামলাকারীরা ‘‘ফিতনা আল খারিজ’’ গোষ্ঠীর সদস্য। উগ্রপন্থী মতাদর্শে প্রভাবিত ও বিদেশি পৃষ্ঠপোষকদের সহায়তা পাওয়া সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে ফিতনা আল খারিজ বলে ডাকে পাকিস্তান। সূত্র: রয়টার্স

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের