গরমে ত্বক নিয়ে অস্বস্তিতে পরেন কমবেশি সবাই। এর মধ্যে যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের ভোগান্তিটা একটু বেশি। সূর্যের তাপ, ঘাম, বৃষ্টির পানি, ধুলা ময়লাতে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি হয় তৈলাক্ত ত্বকের। তাই তৈলাক্ত ত্বককে সুন্দর রাখতে যত্ন নেওয়া উচিত। ঈদের আগে এই দিনগুলোতে নিয়মিত যত্নই পারে উৎসবের দিনটিতে ত্বককে সতেজ ও মসৃণ রাখতে।
যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, মুখের ত্বক অপরিষ্কার রাখবেন না। ঘাম ও মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে নিজের সুবিধামতো সময়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। প্রয়োজনে একাধিকবার ধুয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পানিতে দুই-এক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিলে সতেজ বোধ করবেন।
সপ্তাহে একদিন সমপরিমাণ গোলাপজল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগাবেন। আধা ঘণ্টা পর আলতোভাবে তুলা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিবেন। ব্রণ এবং ফুসকুড়ির দাগ থাকলে বিদায় নিবে।
মেকআপে ওয়াটার-বেসড বা পানিনির্ভর প্রসাধনীকে প্রাধান্য দিন। অয়েল-বেসড কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। ফাউন্ডেশন কম কম লাগালে ভালো। তবে ফেসপাউডার লাগালে তেমন একটা ক্ষতি নেই। আর এমন আইলাইনার লাগানো উচিত, যা ভিজে গেলেও যেন মুছে না যায়।
মুলতানি মাটি, চন্দনের গুঁড়া, কাগজিলেবুর রস এবং সর তোলা দুধ বা টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এতে ত্বকের বাড়তি তেল ও ময়লা বেরিয়ে যাবে। তবে কেউ চাইলে কাগজিলেবুর রসের বদলে গোলাপজল এবং চন্দনের বদলে ভিজিয়ে রাখা মসুরের ডাল বেটে ব্যবহার করতে পারেন।
ঈদের দিন তৈলাক্ত ত্বক সুন্দর রাখতে রমজানের এই কয়দিন অন্তত সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। শসার রস কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের ভালো বন্ধু। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শসার রসের বরফ খণ্ড তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। আর শসার রসের সঙ্গে প্রয়োজনমতো চালের গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে ব্রণ থাকলে এই স্ক্রাব ভুলেও ব্যবহার করবেন না, ক্ষতি হবে।
ঈদের দিন তৈলাক্ত ত্বক সুন্দর রাখতে রমজানের এই কয়দিন অন্তত সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। অতিরিক্ত তেল ও মসলা জাতীয় খাবার খাবেন না। ইফতারে ভাজাপোড়া কম খাবেন। বরং সাহরিতে ছোট মাছ, শাকসবজি খান। ইফতারের পর প্রচুর পানি, ফলের রস, লেবুপানির সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম