
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়েছে এবং তারা তাদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমি চাই যুগ যুগ ধরে দেশের মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রধান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধা যে দলেরই হোক, তাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।’
নারী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তার জন্য সরকার সচেষ্ট বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
ফেলোদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্জিত জ্ঞান দেশের কাজে লাগাবেন। পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। জনগণ যেন সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করবেন। ফিরে এসে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেবেন।
তিনি বলেন, আমি এই ফেলোশিপকে ট্রাস্ট করে আইন করে দিয়ে যাবো, যেন ভবিষ্যতে এটা বন্ধ করতে না পারে। আমরা এখন যাই করব একটি ট্রাস্ট ফান্ড করে দিবো।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। ৯টি ভাষা দিয়ে ফ্রি অ্যাপস চালু করে দিয়েছি। কারণ ফ্রিল্যান্সাররা যাতে ভাষা শিখে কাজ করতে পারে। একটা গ্রামে বসে যেন তারা কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী আছে তারা যেন সবদিক থেকে সুযোগ সুবিধা পায়। তারাও যেন এগিয়ে যায়। শিক্ষায় তারাও যেন পিছিয়ে না পড়ে। সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম