বৃহস্পতিবার,

০৮ মে ২০২৫,

২৫ বৈশাখ ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

০৮ মে ২০২৫,

২৫ বৈশাখ ১৪৩২

Radio Today News

খালেদা জিয়া আগামীতে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কি না জানা গেল!

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ৮ মে ২০২৫

Google News
খালেদা জিয়া আগামীতে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কি না জানা গেল!

রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দ্রুতই সভা-সমাবেশে দেখা যেতে পারে তাকে। দেশকে গণতন্ত্রে ফেরাতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও দেশ পরিচালনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে লাভবান হবে দেশ ও দল।    

উন্নত চিকিৎসা শেষে গত মঙ্গলবার লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির শীর্ষ নেতা বেগম খালেদা জিয়া। গুলশানের বাসা ফিরোজায় প্রবেশ করেন পায়ে হেঁটেই। 

লন্ডনে ৪ মাস পরিবারের প্রিয় মুখগুলোর সান্নিধ্যে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে আগের চেয়ে সুস্থ বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক।

পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থান উন্নতিতে নতুন করে উজ্জীবিত দলের নেতারা। তাদের প্রত্যাশা, এবার রাজনীতিতেও সক্রিয় হবেন বিএনপি প্রধান। 

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের সংকটে আছে দেশ। সেক্ষেত্রে গণতন্ত্রের তিনি একজন অগ্রদূত। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব।’

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, প্রতিকূলতায় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপিকে পথ দেখাবে বলে মনে করেন দলের নেতারা। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দলের এবং বিভিন্ন দিবসের আচার অনুষ্ঠানে হয়ত শারীরিকভাবে তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না। সামনে ওনার শারীরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে অবশ্যই যথাযথভাবে উপস্থিত থেকে আমাদেরকে নেতৃত্ব দেবেন। এটাই আমরা আশা করি। কিন্তু এটা নির্ভর করবে শারীরিক সক্ষমতার ওপরে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, গণতন্ত্র উত্তরণ এবং গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় তিনি সব সময় আমাদের নেতৃত্বে থাকবেন।’ 

বিএনপি নেতারা মনে করেন, সভা-সমাবেশে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত করবে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে শারীরিক সুস্থতার ওপর।

বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে আগামী দিনে প্রয়োজনে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু কর্মসূচিতে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি দেখা যেতে পারে। সরাসরি না হলেও সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হতে পারেন। দলটির নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, রাজনীতিতে খালেদা জিয়া আবার সক্রিয় হবেন। দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তিনি তার ভূমিকা রাখবেন। রাজপথে থেকে না হলেও নিকট অতীতের মতো আগামীতেও দলকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ বা নির্দেশনা দেবেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ বলেন, আমরা আশা করতে পারি, আল্লাহ যদি নেত্রীর স্বাস্থ্য ভালো রাখেন, তিনি গণতন্ত্র ও রাজনীতিতে আবারও নেতৃত্ব দেবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিদেশে চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়ার আগমনে দেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ আরও সুগম হবে। তারা বলছেন, নির্বাচন ছাড়া তো গণতন্ত্র হয় না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের শঙ্কা, জটিলতা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি সংকট উত্তরণে সহায়ক হবে। কারণ, তিনি একজন মোটামুটি সর্বজনগ্রহণযোগ্য ও শ্রদ্ধেয় নেত্রী এবং গণতন্ত্রের জন্য তার দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম রয়েছে। সুতরাং তার আগমনের ফলে জাতীয় নির্বাচনের দাবিটা আরও জোরালো হবে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের