
চার দফা দাবিতে আজ শনিবার (৩ মে) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে দেশের অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। দাবিগুলো হলো— নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআন-সুন্নাহবিরোধী প্রস্তাব বাতিল, সংবিধানে বহুত্ববাদের পরিবর্তে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, ফ্যাসিবাদের আমলে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার, শাপলা চত্বরসহ সব গণহত্যার বিচার, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি।
হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে এই মহাসমাবেশ। এতে দল-মত-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষসহ সব পেশাজীবীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মহাসমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। বক্তব্য দেবেন দেশের শীর্ষ ওলামা মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদ।
গতকাল শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান বিবৃতিতে বলেছেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিলের দাবিতে ৩ মে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে আমাদের অনেক মা-বোন তাঁদের সন্তান ও ভাইদের সঙ্গে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। রাষ্ট্র সংস্কারে তাঁদেরও হক রয়েছে। কিন্তু ঔপনিবেশিক মানসিকতা ও পশ্চিমা এজেন্ডা নিয়ে কুখ্যাত নারীবাদীরা কমিশন দখল করে ইসলামবিরোধী প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
এরা এ দেশের ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের শত্রু। অধিকারের নামে নারীকে ইউরোপের মতো বাজারি পণ্য ও যৌনদাস বানানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেমেছে। কথিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যৌনকর্মীকে ‘শ্রমিক’-এর মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব করে মূলত নারীর মর্যাদাহানি করেছে। পতিতাবৃত্তি কোনো সম্মানজনক পেশা নয়।
এটা বরং সমাজের গভীর ক্ষত; নাগরিকের মৌলিক অধিকার পূরণে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার ফোঁড়। সম্মানজনক কর্মসংস্থানের অভাব, ক্ষুধার তাড়না ও নারীপাচারের ঘটনা ছাড়া কোনো নারী স্বেচ্ছায় এ পেশায় আসেন না। নারীর সম্ভ্রম ও আত্মমর্যাদার পরিবর্তে শরীর বিক্রিকে প্রাধান্য দিয়ে নারীসত্তার চরম অবমাননা করেছে ওই নারীবাদী কমিশন। আমরা আবারও তীব্র নিন্দা জানাই।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম