রোববার,

০৪ মে ২০২৫,

২১ বৈশাখ ১৪৩২

রোববার,

০৪ মে ২০২৫,

২১ বৈশাখ ১৪৩২

Radio Today News

বিএনপির সমর্থনের কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিকে আছেন: শামসুজ্জামান দুদু

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:০০, ৩ মে ২০২৫

আপডেট: ১৯:০১, ৩ মে ২০২৫

Google News
বিএনপির সমর্থনের কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিকে আছেন: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির সমর্থনের কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিকে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যাকে সমর্থন দিচ্ছি তিনি হচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে আছেন বিএনপির সমর্থনের কারণে। বিএনপি সমর্থন প্রত্যাহার করলে, তারপর কী হবে, তিনি কিন্তু তা বুঝতে পারছেন না বা তাকে বুঝতে দেওয়া হচ্ছে না।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সাবেক মন্ত্রী সুনীল গুপ্তের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সুনীল গুপ্ত স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য আমরা তাকে (ড. ইউনূস) সমর্থন করি, যেন দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু এখন নির্বাচনের কথা বললে মনে হচ্ছে বড় অপরাধ।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গত ১৫-১৬ বছর ধরে লড়াই করেছি। লড়াইটা এখনও আছে, এখনও রাজপথে আছি। সেই লড়াইটা শেষ হবে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। নির্বাচন যে পর্যন্ত না হয় সে পর্যন্ত আমাদের লড়াইটা চালু আছে। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কেউ কেউ বলেন- কোনো দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি। তাদের বলি- কোনো দল বাংলাদেশের ক্ষমতায় না এলে কে আসবে, সামরিক? তারা যদি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তাহলে দেখবে, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রে উত্তরণে আর দ্বিতীয় কোনো পথ নাই।

দুদু বলেন, বাংলাদেশকে বহিঃশত্রু থেকে বাঁচাতে, দেশের ভেতরে যেসব শত্রু আছে, তাদের মোকাবিলায়, দেশকে বিকশিত ও সত্যিকারের বাংলাদেশের রূপান্তরিত করতে হলে একটি রাজনৈতিক সরকার দরকার। সেই রাজনৈতিক সরকার আসবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।

তিনি আরও বলেন, আমি বলছি না বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। যে দলই ক্ষমতায় আসুক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে হতে হবে এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তারা কাজ করবে।

কারও নাম উল্লেখ করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, একদল আছে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মানতে চায়নি। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছে। তারা যেন বাংলাদেশের এখন সবকিছু।

‘দেশের সবাই জানে, আমরাও জানি বিএনপি ছাড়া এ দেশে আর দ্বিতীয় কোনো দল নাই, যারা ক্ষমতায় আসবে। যারা দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে। যারা বিএনপিকে বাদ দিতে চায়, তাদের বলব- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সুনীল গুপ্ত- এদের দিকে তাকান তাহলে বুঝবেন রাস্তা সোজা নাকি আঁকাবাঁকা।’

সাবেক মন্ত্রী সুনীল গুপ্তের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সুনীল গুপ্ত ইতিহাসের পাতায় জাতীয়তাবাদীর প্রগতিশীল রাজনীতির অন্যতম দিকপাল। তাকে স্মরণ করা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করার মতোই। মাওলানা ভাসানী, সুনীল গুপ্ত, মশিউর রহমান যাদু মিয়া- তাদের রাজনৈতিক জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের বিষয়গুলোকে আমরা যত এড়িয়ে যাব আড়াল করব বাংলাদেশ তত ভঙ্গুর হবে।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের