
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরছেন। শনিবার (৩ মে) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমান তথা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আগামী সোমবার (৫ মে) বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে আসবেন ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া। সময় চূড়ান্ত হবার পর জানাবো।’
এদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের রাস্তায় যানজট সৃষ্টি না করে শৃঙ্খলার সাথে বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর অনুরোধ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
যদিও এর আগে জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটে ফিরবেন। এ ফ্লাইটে তার পরিবারের সদস্য ও বিএনপির শীর্ষ নেতারাও থাকবেন। তবে শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে দুই কেবিন ক্রুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের স্থলে নতুন দুইজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরিয়ে দেওয়া কেবিন ক্রুদের একজন অতীতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখেছিলেন এবং একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। অপরজন সরকারি দলের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় থাকার অভিযোগে আলোচিত।
বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি রুটিন প্রক্রিয়ার অংশ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। তবে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।