
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সুনির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে কমিশন জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায়। যা বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা করতে পারে।
শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সকলে একমত হয়ে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ের সংগ্রামে বিজয় হয়েছে। সেটা যেন ধরে রাখতে পারি, অগ্রসর হতে পারি। সেক্ষেত্রে ভিন্নমত থাকবে। গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রগঠনের দিক থেকে আমরা যেনো এক কাতারে থাকতে পারি। পরস্পরের সহযোদ্ধা হতে পারি। এ সহযোগিতার মধ্য দিয়ে জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারবো, যে সনদ নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রসর হওয়ার জন্য তা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। এর অর্থ এ নয় যে, সব বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব। কিন্তু যেগুলো রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠনের প্রয়োজন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন সেখানে আশা করি একমত হতে পারব। সেটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেষ্টা।
রাষ্ট্র পুর্নগঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দেবে বলে আশা প্রকাশও করেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত প্রয়োজন আমাদের জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রসর হওয়ার জন্য।