
বিএনপির কর্মীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দায় দলীয়ভাবেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজ ও অপরাধীরা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে জনগণের কাছ থেকে সুবিধা নেয়। তাই এর দায় বিএনপিকেই নিতে হবে। জনতার ক্ষোভ দলের প্রতি হওয়াটা স্বাভাবিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনতার প্রতিবাদকে প্রতিপক্ষ না বানিয়ে বিএনপিকে নিজ দলের অপরাধীদের চিহ্নিত করতে হবে। বর্বরভাবে মানুষ খুনের পর জনগণের কাছ থেকে মার্জিত ক্ষোভ আশা করা অবান্তর।’
চরমোনাই পীর রাজনৈতিক ভাষা ও আচরণে শালীনতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘রাজনীতিতে সমালোচনা থাকবেই, কিন্তু সেটা সীমার মধ্যে থাকা জরুরি। বিএনপির মঞ্চ থেকে চরমোনাইয়ের মতো আধ্যাত্মিক ধারার বিরুদ্ধে যেভাবে স্লোগান দেওয়া হয়েছে, তা দুঃখজনক।’
তিনি জানান, ইসলামী আন্দোলনের একজন সিনিয়র নেতার বক্তব্য খণ্ডিত করে ছড়ানো হয়েছে এবং তা কেন্দ্র করেই চরমোনাইর বিরুদ্ধে নোংরা স্লোগান দেওয়া হয়েছে। “এ ধরনের আচরণ একটি ঐতিহাসিক সংস্কারধারার প্রতি চরম অবমাননা,” বলেন তিনি।
গত ১০ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণসহ অপরাধ বাড়ার অভিযোগ করে রেজাউল করীম বলেন, ‘মিটফোর্ডের সামনে প্রকাশ্যে মানুষ খুনের ঘটনায় মানুষ ফুঁসে উঠেছে। অথচ সেই প্রতিবাদকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে মূল অপরাধ আড়াল করা হয়েছে।’
সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না, তা স্পষ্ট করতে হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকার পরও এমন পরিস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়।’
৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে যে ঐকমত্য গড়ে উঠেছে, তার বাস্তবায়নের ওপরও জোর দিয়েছেন চরমোনাই পীর। “সংবিধান ও আইনের কিছু সংস্কার হলেও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এখনো কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি,” বলেন তিনি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম