সশস্ত্র বাহিনীর দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে: তারেক রহমান

শনিবার,

২২ নভেম্বর ২০২৫,

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

শনিবার,

২২ নভেম্বর ২০২৫,

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

সশস্ত্র বাহিনীর দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে: তারেক রহমান

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৩৪, ২১ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৭:৪৫, ২১ নভেম্বর ২০২৫

Google News
সশস্ত্র বাহিনীর দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে: তারেক রহমান

সশস্ত্র বাহিনীর বলিষ্ঠ ভূমিকা এই বাহিনীকে জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত করেছে, ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের আমি সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি। এই দিবসে সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সাফল্য, উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। নির্ভিক সাহসিকতা, শৌর্য, সংকল্পবদ্ধ শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী। ৭১ এর রনাঙ্গণে এই বাহিনীর অসীম সাহসী ভূমিকা ইতিহাসের এক উজ্জল অধ্যায়। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও প্রশংসনীয় করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্বিপাকের সময় সশস্ত্র বাহিনীর বলিষ্ঠ ভূমিকা এই বাহিনীকে জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত করেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রেখে একটি প্রযুক্তি নির্ভর, গতিশীল ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনিই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে সুশিক্ষিত ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করেছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার সময় থেকেই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যেকোন আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ। একইভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলেন, যা বৈশ্বিক পরিসরে ব্যাপক অবদান রাখে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবনদানকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে। আমি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের