
সংগৃহিত ছবি
আমাদের মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক আমরা সকলেই জানি যে, একদিন কিয়ামত ঘটবে। যার মাধ্যম দিয়ে সৃষ্টির শেষ হবে। কেয়ামত সংঘটিত হবার পূর্বে কিছু কিছু নিদর্শন কিংবা আলামত পাওয়া যাবে। যদিও কিয়ামতের বড় বড় আলামতের মধ্যে পরিদৃষ্ট আলামত দেখা না গেলেও সর্বত্রই ছোট ছোট আলামত গুলো বিস্তার লাভ করেছে।
কিয়ামত কবে সংঘটিত হবে তা আমাদের সকলেরই অজানা। কিন্তু আমরা শেষ জামানায় অবস্থান করছি। তাই কিয়ামতের ছোট ছোট আলামত গুলো এখন সর্বত্রই বিরাজমান। এক হাদীস হতে বর্ণিত, ইবনে মাসুদ (রাঃ )বলেন, আমি একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম, হে রাসুল শেষ সময় চেনার কোন উপায় আছে কি? আল্লাহর রাসূল বললেন হে ইবনে মাসুদ এই সম্পর্কিত বহু নিদর্শন রয়েছে। (আল মুজামুল কাবির আত তাবরানী - হাদিস নং ১০৪১)।আজকে আমরা শেষ জামানার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন সম্পর্কে সকলকে জানাবো।
চলুন তাহলে জেনে আসি শেষ জামানার কিছু অতীব গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন সম্পর্কে:
১. শেষ জামানার নিদর্শনের মধ্যে একটি হলো বিশ্বাসঘাতকদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। সাধারণ মানুষ জন সৎ মানুষকে বিশ্বাসঘাতক এবং বিশ্বাসঘাতককে সৎ মানুষ মনে করবে।
২. দেশ শাসন করবে কিছু মুনাফিকের দল। যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না। এবং ইসলাম পরিপন্থী কাজের সঙ্গে যুক্ত।
৩. সংগঠিত সকল মসজিদ সমূহ জাঁকজমক পূর্ণ করে তোলা হবে। কিন্তু নামাজ পড়ার জন্য মুমিন ব্যক্তির অভাব দেখা দেবে।
৪. সদ্যজাত জন্ম নেওয়া বাচ্চাকাচ্চারা হবে ভীষণ রকমের বদমেজাজী। যার দৃষ্টান্ত বর্তমানে বিরাজমান।
৫. একদল মানুষ আরেকদল মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করবে।
৬. অল্প বয়স্ক লোকেদের প্রচুর ধনসম্পদ থাকবে।
৭. কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে চারিদিকে বাদ্যযন্ত্র ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে।
৮. নবীজি (সাঃ) আরো বলেন যে, আমার উম্মাহর কিছু অংশ প্রচুর পরিমাণে মদপান করবে এবং মদকে বিভিন্ন নামে ডাকবে।
ইসলাম শরীয়ত মোতাবেক কেয়ামত সংঘটিত হবে। এটিকে রোধ করার ক্ষমতা কারোর নেই। তবে ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করা এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী চলা আমাদের প্রত্যেক মুসলমানদের অত্যাবশ্যকীয়। আমরা এখন সৃষ্টি জগতের শেষ সময়টা অতিবাহিত করছি। তাই আমাদের প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ইসলাম শরিয়ত মোতাবেক জীবনধারণ করা।
মহান রাব্বুল আলামিন বিশ্বের সকল উম্মাহকে কিয়ামতের নিদর্শন গুলো বুঝে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক জীবন ধারণ করার তৌফিক দান করুন।
(আমিন )
এস আর