মঙ্গলবার,

১৯ মার্চ ২০২৪,

৫ চৈত্র ১৪৩০

মঙ্গলবার,

১৯ মার্চ ২০২৪,

৫ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘প্রবারণা পূর্ণিমা’ উদযাপন

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:২৯, ২০ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ২২:৩০, ২০ অক্টোবর ২০২১

Google News
বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘প্রবারণা পূর্ণিমা’ উদযাপন

ফাইল ছবি

আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসব। এটি ‘আশ্বিনী পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত।

বৌদ্ধদের মতে, এই পুণ্যময় পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব গৌতম বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনার পর ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেন। মানবজাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন। একই দিনে তার তিন মাসের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি ঘটে।

দিবসটি উপলক্ষে ফানুস উড়ানোসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায় নানা ধরনের উৎসবের আয়োজন করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণীতে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাণীতে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধরে রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

মহামতি গৌতম বুদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় বিশ্ব গঠনে আজীবন সাম্য, মৈত্রী, মানবতা ও শান্তির অমিয় বাণী প্রচার করে গেছেন। তার আদর্শ ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল ও মানবিকতায় পরিপূর্ণ। বুদ্ধের অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী বিপুল সমাদৃত।

কঠিন চীবর দানকে বলা হয় দানশ্রেষ্ঠ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে এ দানোৎসব সবার মধ্যে গড়ে তোলে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি। ত্যাগ, সংযম, নিয়মানুবর্তিতা আর কঠোর ধ্যান সাধনার মাধ্যমে উদযাপিত ‘কঠিন চীবর দান’ ভক্তদের বৌদ্ধের প্রকৃত অনুসারী হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য। এ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধবিহারের উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করছে।

রেডিওটুডে নিউজ/এসএস

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের