লম্বা সময় ধরেই টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগছে বাংলাদেশ। একাধিক ক্রিকেটারকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও যেন কাজ হচ্ছে না! আজও ক্যারিবিয়ানদের মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে বাংলাদেশি ব্যাটিং অর্ডার। তবে শেষদিকের ব্যাটাররা কিছুটা লড়াই করেছেন। তাতে কেবলই হারের ব্যবধান কমেছে। ১৬ রানের জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৬ রান করেছেন শাই হোপ। এ ছাড়া ৪৪ রান এসেছে পাওয়েলের ব্যাট থেকে। জবাবে ১৯ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ছক্কা হাঁকিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের আভাস দেন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার। সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার সাইফ হাসানও। ৭ বলে ৮ রান করেছেন তিনি।
তিনে নেমে ব্যর্থ লিটন দাস। ৮ বল খেলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। লিটনের পথেই হেঁটেছেন শামিম-সোহানরাও। তাতে ৫৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দল। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন তাওহিদ হৃদয় ও তানজিম সাকিব।
হৃদয় ২৫ বলে করেছেন ২৮ রান। আর সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ বলে ৩৩ রান। শেষদিকে ১৩ বলে ২০ রান করেন নাসুম আহমেদ।
এর আগে বোলিংয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারালেও ৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এরপরই হাত খুলতে শুরু করে ক্যারিবিয়ানরা।
বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন রিশাদ। ২৭ বলে ৩৪ রান করা আলিক আথানজেকে বোল্ড করেছেন এই লেগি। আরেক ওপেনার ব্রেন্ডন কিংও একই পথে হেঁটেছেন। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৬ বলে ৩৩ করেছেন তিনি। তাকে ফিরিয়েছেন তাসকিন। নতুন ব্যাটার রাদারফোর্ডকে পরের বলেই আউট করেছেন এই পেসার।
৮২ রানে ৩ উইকেট হারানো উইন্ডিজ ইনিংসের বাকিটা সময় দাপট দেখিয়েছে। শাই হোপ ও রভম্যান পাওয়েলের ব্যাটে দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় তারা। পাওয়েল অপরাজিত থেকেছেন ৪৪ রানে, আর হোপের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৪৬ রান।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

