শুক্রবার,

০৩ মে ২০২৪,

২০ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার,

০৩ মে ২০২৪,

২০ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

নামাজে ইউএনওকে সরে দাঁড়াতে বলায় চাকরি গেল ইমামের

রেডিওটুডে প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১২, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

Google News
নামাজে ইউএনওকে সরে দাঁড়াতে বলায় চাকরি গেল ইমামের

জুমার নামাজের ইকামতের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে একটু সরে দাঁড়াতে বলেছিলেন ইমাম ও মুয়াজ্জিন। আর এতেই কাল হয়েছে ইমামে। বিষয়টিকে অপমান হিসেবে নিয়ে ক্ষিপ্ত হন ইউএনও মো. ফোরকান এলাহি অনুপম। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করেন ইমামকে।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন ভাটরা কাছারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিষয়টি জানাজানি হয়। বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুসল্লিরা। তবে ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন ইউএনও অনুপম।

ওই মসজিদের ইমামের নাম মাওলানা আবুল বাশার। তার অভিযোগ, ক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনও একাধিকবার তাকে পুকুরের পানিতে চুবানোর হুমকি দিয়েছেন।

ইমাম আবুল বাশার বলেন, খুতবা পড়ার শেষ পর্যায়ে প্রথম সারিতে শার্ট-প্যান্ট পরা এক ভদ্রলোক এসে বসেন। ইকামত শেষে নামাজে দাঁড়ানোর সময় মুয়াজ্জিন ওই ভদ্রলোককে একটু সরতে বলেন। না সরায় আমিও ওই ব্যক্তিকে সরতে বলি। পরে জানতে পারি তিনি ইউএনও। নামাজ শেষে আমি মসজিদ থেকে বের হলে (ইউএনও) আমাকে ও মুয়াজ্জিনকে মসজিদের দক্ষিণের সরকারি পুকুরপাড়ে ডেকে নিয়ে যান। তখন ইউএনও স্যার উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘কোনো কথা নেই, তোকে এখন পানিতে চুবামো। তুই কত বড় মাওলানা হয়েছিস, তোর ইন্টারভিউ নিবো। পরে ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ ও মেম্বার গোলাপ হোসেনকে মোবাইল ফোনে কল করে দ্রুত পুকুরপাড়ে আসতে বলেন। চেয়ারম্যান-মেম্বার পুকুরপাড়ে আসার পর ইউএনও স্যার আমাকে প্রশ্ন করেন, আমাকে সরতে বললেন কেন?

মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ পারভেজ হোসেন বলেন, আমি ইউএনও স্যারকে চিনতে না পেরে সরতে বলেছিলাম। সে কারণে নামাজের পরে ইউএনও স্যার পুকুর পাড়ে নিয়ে আমাকে ও ইমাম সাহেবকে অনেক প্রশ্ন করেন। উত্তেজিত হয়ে ইমাম সাহেবকে কয়েকবার পানিতে চুবাতে বলেছেন। স্থানীয় পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ইউএনও স্যার ইমামকে পানিতে চুবাতে বলেছে কি-না আমি শুনিনি। তবে ইমাম মুয়াজ্জিন সঠিক কাজ করে নাই। ইউএনও স্যারকে নামাজের সময় সরতে বাধ্য করেছেন। এটা তারা করতে পারেন না। সেই কারণে আমি কমিটির লোকজনকে বলেছি, ইমামকে বাদ দিতে।

লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপম বলেন, মসজিদের ইমাম উপজেলা থেকে নিয়োগ দেয় না, তাকে আমি বাদ দেয়ার কে? এছাড়া আমি ইমাম কিংবা মুয়াজ্জিনকে পানিতে চুবাতে বলিনি, এটা অপপ্রচার।

রেডিওটুডে/এমএমএইচ

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের