
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিং-এ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। লেহ থেকে শুরু করে গুজরাত পর্যন্ত ৩৬টি জায়গায় হামলা হয়েছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনী অনেকগুলো ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।’ তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতে এ রকম কোনো হামলার কথা অস্বীকার করেছিলেন।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশির কথায়, ‘আকাশপথে এত ব্যাপক সংখ্যায় অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্য ছিল সম্ভবত আমাদের বিমান-প্রতিরোধী ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখা এবং গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করা।’
ড্রোনগুলির ধ্বংসাবশেষের প্রাথমিক ফরেনসিকের পর জানা গিয়েছে, সেগুলি তুরস্কের তৈরি অ্যাসিসগার্ড সঙ্গার মডেলের ড্রোন।
‘পাকিস্তানের তরফ থেকে সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি চালানো হচ্ছে। এই গোলাগুলিতে কয়েকজন ভারতীয় সেনাসদস্য হতাহত হয়েছে। ভারতে পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে,’ জানিয়েছেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।
তবে ঠিক কতজন ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দেননি তিনি।
ওই সংবাদ ব্রিফিং-এ ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং জানান, সাতই মে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ যখন বিনা প্ররোচণায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, তখনও তারা বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে নি। এর অর্থ হল ভারতের ওপরে হামলা হলে যে দ্রুত আকাশ পথে প্রতিরোধ করা হবে, সেটা জানা সত্ত্বেও একটি বেসামরিক বিমানকে ঢাল হিসাবে তারা ব্যবহার করেছিল।
ফ্লাইটরাডার২৪ -এর একটি স্ক্রিনশট দেখিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘ভারতে আকাশপথ কিন্তু সব বেসামরিক বিমানের জন্য ঘোষণা দিয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই ভারতের দিকে আকাশে কোনো বেসামরিক বিমান ছিল না।’
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ অবশ্য বৃহস্পতিবার রাতেই জানিয়েছিলেন, ‘আমরা এটা অস্বীকার করছি। আমরা এখন পর্যন্ত কিছুই করিনি। যখন পাকিস্তান হামলা করবে তখন সবাই জানতে পারবে।’ সূত্র: বিবিসি
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম