রোববার,

০৩ আগস্ট ২০২৫,

১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

রোববার,

০৩ আগস্ট ২০২৫,

১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

Radio Today News

কাপ্তাই হ্রদে ৯৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকার শুরু

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:০৫, ৩ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৫:২৬, ৩ আগস্ট ২০২৫

Google News
কাপ্তাই হ্রদে ৯৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকার শুরু

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ৯৪ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ রোববার মধ্যরাত ১২টার পর থেকে মাছ শিকার শুরু  হয়েছে। এতে জেলে ব্যবসায়ী থেকে সবার কর্মচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তবে হ্রদে পানির উচ্চতা বেশি থাকায় চাপিলা, কাসকিসহ ছোট মাছ ধরা পড়লেও বড়গুলো জালে ধরা পড়ছে না। 

কাপ্তাই কার্প জাতীয় মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তার ও বিকাশে নিশ্চিতের লক্ষ্যে গত ১ মে মাস থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে সব ধরনের মাছ শিকার, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। তবে গত ২৮ জুলাই কাপ্তাই লেকে মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সভায় ৩১ জুলাই পর্যন্ত মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা মেয়াদ শেষ হলেও হ্রদে মাছ শিকারের সামগ্রিক প্রস্তুতি না থাকায় আরও দু’দিন বাড়িয়ে গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। 

এদিকে মধ্যরাত ১২টার পর থেকে ৭২৫ বর্গকিলোমিটার কাপ্তাই হ্রদে প্রায় ২৭ হাজার জেলে উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ শিকার শুরু করেছেন। আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে জেলেদের আহরিত মাছ রাঙামাটি শহরের অবতরণ ঘাটসহ চারটি অবতরণ ঘাটে আনা হয়। এসব মাছ প্যাকেজাত করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাকযোগে নেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে, প্রথম দিনে হ্রদে জেলে ও ব্যবসায়ীরা আহরিত মাছ সকাল ৬টা থেকে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন অবতরণ ঘাটসহ চারটি ঘাটে নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। বিকেল ৬টা পর্যন্ত আহরিত মাছ এসব অবতরণ ঘাটে নিয়ে আসা হবে। অন্য তিনটি অবতরণ ঘাট হল কাপ্তাই, খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও বাঘাইছড়ি উপজেলা মারিশ্যা। তবে প্রথম দিনে কি পরিমাণ মাছ আহরিত হয়েছে; তা মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন জানাতে পারেনি। গত বছর এ হ্রদ থেকে ৮ হাজার ৯৮৩ মেট্রিকটন মাছ অবতরণ করা হয়েছে, যা ১৮ কোটি ৫৯ লাখ ৯ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে বলে জানিয়েছে।  

মৎস্য ব্যবসায়ী সবুজ কুমার ত্রিপুরা, বাপ্পি বড়ুয়া ও মো. আলী আকবর জানান, হ্রদে পানির উচ্চতা বেশি থাকায় চাপিলা, কাসকি মাছ বেশি জালে ধরা পড়ছে। কার্প জাতীয় বড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না। তাদের ধারণা, হ্রদে পানি কমে গেলে বড় মাছ জালে ধরা পড়বে।

জাতীয় মৎস্য সমিতির পৌর শাখার সভাপতি হেলাল উদ্দীন ননা জানান, হ্রদে মাছ ধরার সময় আরও ১৫ দিন পিছিয়ে দেওয়া হতো মাছের আকার বড় হতো। এতে জেলে থেকে ব্যবসায়ীরা লাভবান হতেন। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জেলেরা বঞ্চিত হয়ে থাকেন বেশি। সব সময় দেখা যায়, জেলেদের চাইতে ব্যবসায়ীরা বেশী লাভবান হচ্ছেন।    

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেন, ৯৪ দিন পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এক মাস আগে মাছ শিকার শুরু করা হয়েছে। তবে আরো যদি ১৫ দিন থেকে বেশি সময় পাওয়া যেতো তাহলে মাছের বড় হতো। তবে খুব একটা অসুবিধা হবে না। কারণ, যদি প্রাকৃতিক বিষয়গুলো অনুকূলে তাহলে গতবারের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ছাড়িয়ে যাবে। 

তিনি আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদে ছোট মাছ কাসকি ও চাপিলা মাছ ধরা পড়ছে। কারণ, এসব ছোট মাছের আধিক্য বেশি। তবে হ্রদের পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বড়গুলো ধরতে ও অবতরণ করতে পারবে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের