
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ মাস পর আবার ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাজার থেকে আরও ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার কেনার পর গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির প্রভাবে ডলার প্রবাহ বেড়েছে। এতে করে ডলারের দর দ্রুত কমে যাচ্ছিল। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংক থেকে উদ্বৃত্ত ডলার কিনে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত জুলাই থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কেনা হয়েছে ২১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এতে ডলারের দর এখন ১২২ টাকায় স্থিতিশীল আছে। গত জুলাইতে ডলারের দর কমে ১১৯ টাকা ৫০ পয়সায় নেমেছিল। ডলার প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এ পর্যায়ে এসেছে।
দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। সরকার পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত রিজার্ভ বেড়েছে ৬ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২০২৩ সালের ৮ মার্চ কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। ২০২৩ সালের জুন থেকে আইএমএফের শর্ত মেনে বিপিএম৬ অনুযায়ী, রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সময় রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। আবার চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত এসেছে আরও ৮৮৭ কোটি ডলার, যা ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। প্রথম তিন মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৬ শতাংশের মতো। আবার আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রচুর ঋণ পেয়েছে। যে কারণে রিজার্ভ বাড়ছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম