
মিসরের শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দিয়েছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আরও জোরদার করবে তার দেশ।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সম্মেলন শেষে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকায় এবং হামাসের হাতে আটক ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাওয়ায় আমরা আনন্দিত।’
তিনি জানান, গাজায় ইতিমধ্যে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং পরিকল্পনার চেয়েও ‘বেশি গতিতে’ তা এগোচ্ছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকে সহায়তা কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
ম্যাক্রোঁ বলেন, গাজায় সহায়তা পৌঁছাতে যেন কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজা বিষয়ক একটি মানবিক সহায়তা সম্মেলন আয়োজন করবে ফ্রান্স। ‘দ্বিতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে তহবিল সংগ্রহ শুরু করা হবে,’ বলেন তিনি।
গাজার প্রশাসন নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানান, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় সমঝোতায় পৌঁছেছে। শিগগিরই হামাসের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে প্রযুক্তিগত কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, তার প্রস্তাবিত তিন ধাপের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এতে গাজায় থাকা সব ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ও ধীরে ধীরে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।
প্রথম ধাপটি শুক্রবার (১০ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হয়। এরপর সোমবার হামাসের হাতে থাকা ২০ জীবিত ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদেরও মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৮০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে গোটা অঞ্চল।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম