
সংগৃহিত ছবি
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বেলাট দৌলতপুর গ্রামে ঐতিহাসিক গোড়ার মসজিদ অবস্থিত। পঞ্চদশ শতাব্দীর সুলতানি শাসনামলের এক অনন্য শিল্পের নিদর্শন এই মসজিদটি।
মসজিদটিতে রয়েছে তিনটি ছোট গম্বুজ ও একটি বড় গম্বুজ। এছাড়াও মসজিদের পূর্ব দিকে আছে ওযু করার সুব্যবস্থার একটি স্থান এবং একটি বড় পুকুর। মসজিদটির বারান্দা কিছুটা বর্গাকৃতির। উত্তর ও দক্ষিণের দেয়ালে দুটি বড় ও দুটি ছোট প্রবেশ পথ রয়েছে। এছাড়াও মসজিদের পূর্ব দিকে তিনটি বড় প্রবেশদ্বার রয়েছে। ৫ ফুট প্রশস্ত দেওয়াল আছে এই মসজিদটিতে।
তিনটি মেহরাব আছে পশ্চিমের দেওয়ালে। দুটি কালো পাথরের স্তম্ভ রয়েছে পশ্চিম ও উত্তর দক্ষিণের দেয়ালে ৭ থেকে ৮ ফুট লম্বা এক একটা স্তম্ভ। ১৯৮৩ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই গম্বুজটির খনন কালে এর কেন্দ্রস্থলে দুই ফুটের মতো ভাঙা দেখতে পায় এমনকি মসজিদের পাশে একটি কবরের সন্ধান পায়।
অনেকেই ধারণা করেন যে, খবরটি গোড়ায় নামের এক দরবেশের মাজার ছিল। ওই দরবেশের নাম অনুসারে এই মসজিদটিকে গোড়ার মসজিদ বলে ডাকা হয়ে থাকে।
এছাড়াও মসজিদটির দেওয়াল পুরোটাই পোড়ামাটির কারুকার্যে অঙ্কিত। মসজিদের দেওয়ালে পোড়ামাটির পাতা,ফুল, ছবিও শিকল, ঘন্টা সহ রয়েছে আরও বিভিন্ন প্রকারের বহু নকশা। যা চোখে না দেখলে ভালোভাবে অনুভব করা যাবে না। এই স্থানে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ভ্রমন পিপাসুদের আগমন রয়েছে।
ব্যস্ততার মধ্যেও সময় সুযোগ পেলে একদিন ঘুরে আসতে পারেন এই ঐতিহাসিক গড়ার মসজিদ স্থানটিতে। এই মসজিদটিতে পৌঁছানো খুবই সহজ। যেকোনো স্থান থেকে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা শহরে পৌঁছানর ব্যবস্থা করতে হবে। কালিগঞ্জ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে বড়বাজার ইউনিয়নের বেলার দৌলতপুর গ্রামে গেলেই দেখা মিলবে এই ঐতিহাসিক মসজিদটির।
এস আর