চীনজুড়ে পরিবেশগত উন্নয়ন ও জলাভূমি পুনরুদ্ধারের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে এবারের শীতে। বিভিন্ন সংরক্ষণ এলাকায় বেড়েছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা। আনহুই প্রদেশের মুন লেকে এসেছে ১০ হাজারেরও বেশি অতিথি পাখি, যার মধ্যে রয়েছে দ্বিতীয়-স্তরের সুরক্ষিত তুন্দ্রা সোয়ান। কুইচৌর ছাওহাই নেচার রিজার্ভে এসেছে প্রায় আড়াই হাজার কালো-গলার সারস।
চীনের বিভিন্ন প্রকৃতি সংরক্ষণ এলাকায় পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। এর প্রমাণ দিচ্ছে শীতের পরিযায়ী পাখিরা।
আনহুই প্রদেশের ছিচৌ শহরের মুন লেকে ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি পরিযায়ী পাখি এসেছে।
পানির ধারে পাখির ঝাঁক। কেউ পানি ঘেঁষে উড়ছে, কেউ আকাশে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ৮০০-র বেশি তুন্দ্রা রাজহাঁস এসেছে এই লেকে। এরা চীনের দ্বিতীয় শ্রেণির সুরক্ষিত পাখি। এ ছাড়া আছে ধূসর রাজহাঁস, সবুজ-ডানা টিল ও বক।
কুইচৌ প্রদেশের ছাওহাই জাতীয় প্রকৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্রেও শীত নামার সঙ্গে সঙ্গে কালো-গলার সারস বাড়ছে। এরা পাহাড়ি অঞ্চলের বিরল পাখি এবং চীনের প্রথম শ্রেণির সুরক্ষিত প্রাণী।
তথ্য মতে, গত সপ্তাহের মাঝামাঝিতে ছাওহাইতে এদের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে।
ছাওহাই এলাকা একটি সম্পূর্ণ ও স্বাভাবিক উচ্চভূমির জলাভূমি। এটি কালো-গলার সারসের প্রধান শীতকালীন আশ্রয়স্থল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এখানকার জলাভূমি রক্ষায় প্রশাসন উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। এতে করে বেড়েছে পাখির সংখ্যা ও বৈচিত্র্য। এখন শীতকালে এখানে ১ লাখেরও বেশি পরিযায়ী পাখি আসে।
শানতোং প্রদেশের হেচে শহরের তোংমিং কাউন্টিতে ইয়াংজি নদীর তীরও এখন পরিযায়ী পাখির ভিড়ে জমজমাট। সাইবেরিয়া থেকে আসা ২০ প্রজাতির কয়েক লাখ পাখি এখানে শীত কাটাতে আসে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

