চীন জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় এবং বহু দেশের সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ে বিনিময় ও সহযোগিতা বজায় রেখেছে। বুধবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমনটা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কুও চিয়াখুন। তিনি বলেন, চীন বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার উন্নয়নে আরও ইতিবাচক শক্তি যোগ করতে প্রস্তুত।
১০ ডিসেম্বরের মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কুও বলেন, এ বছর জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার ৮০ বছর, ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস গৃহীত হওয়ার ৭৭ বছর এবং মানবাধিকার দিবস ঘোষণার ৭৫ বছর।
তিনি বলেন, চীন মানবাধিকার সম্মান ও সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেয় এবং সময়ের প্রবণতা ও জাতীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মানবাধিকার উন্নয়নপথ অনুসরণ করে।
কুও জানান, বেইজিংয়ে চীন আয়োজিত অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক দ্বিতীয় কর্মশালায় এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ওশেনিয়ার ৪০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরাও যুক্ত হয়েছেন। বৈঠকে বিভিন্ন পক্ষ এসব অধিকার বাস্তবায়নে ব্যাপক মতৈক্যে পৌঁছেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু দেশ মানবাধিকারকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, যা বৈশ্বিক মানবাধিকার শাসনব্যবস্থার জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ। অতীতের যুদ্ধাপরাধ কিংবা বর্তমানের বৈষম্যমূলক নীতি থেকে এসব দেশ এখনও শিক্ষা নেয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কুও বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে নিজেদের মানবাধিকার সমস্যার সমাধানে মনোযোগী হতে হবে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে এবং মানবাধিকার অজুহাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

