
মার্কিন ভিসাধারী ভারতীয়দের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। মার্কিন ভিসার শর্তাবলি ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমোদিত সময়কালের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দূতাবাস বলেছে, যে কোনো শর্ত লঙ্ঘনের ফলে ভিসা বাতিল ও সংশ্লিষ্টদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। খবর এনডিটিভির।
গত সোমবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে ভারতে থাকা মার্কিন দূতাবাস বলেছে, আপনার মার্কিন ভিসার শর্তাবলি ও যুক্তরাষ্ট্রে আপনার অনুমোদিত থাকার সময়কালকে সম্মান করুন। আই-৯৪ (যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী কিছু বিদেশি নাগরিকের জন্য একটি আগমন/প্রস্থান রেকর্ড) অ্যাডমিট অব ডেটের পরও যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে ভিসা প্রত্যাহার, সম্ভাব্য নির্বাসন ও ভবিষ্যতের ভিসার জন্য অযোগ্যতার মতো গুরুতর পরিণতি হতে পারে। পোস্টে আরও বলা হয়, অতিরিক্ত সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান কারাটা আপনার ভ্রমণ, পড়াশোনা বা কাজের বিষয়টিকে স্থায়ীভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
এর আগে সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল কেনার জন্য যে শুল্ক দিচ্ছে, তা আরও বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র। মস্কো থেকে কেনা তেলের বেশির ভাগ অংশই বেশি লাভে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। রুশ যুদ্ধযন্ত্রের হাতে ইউক্রেনের কত মানুষ মারা যাচ্ছে, ভারত তা পরোয়া করে না। এসবের কারণেই ভারতের ওপর শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হবে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, রাশিয়ার তেল কেনায় নয়াদিল্লির পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর হুমকিকে ‘অযৌক্তিক ও অহেতুক’ অ্যাখ্যা দিয়েছে ভারত। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ইউক্রেন সংঘাতের শুরুর দিকে ‘বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের স্থিতিশীলতা জোরদারে’ যুক্তরাষ্ট্রই ভারতকে রাশিয়ার গ্যাস আমদানিতে উৎসাহ যুগিয়েছিল। তিনি বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে আমদানি শুরু করে। কারণ, পুরোনো যেখান থেকে তারা (তেলের) সরবরাহ পেত, সংঘাত শুরুর পর তা ইউরোপমুখী হয়ে যায়।
যা বলছে রাশিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ওয়াশিংটনের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘নব্য উপনিবেশবাদী’ নীতি গ্রহণ করেছে। তবে যে কোনো পরিমাণ শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা ‘ইতিহাসের স্বাভাবিক গতিপথ’ পরিবর্তন করতে পারবে না। বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, তিনি ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে বিভিন্ন দেশের জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর ‘সরাসরি হস্তক্ষেপ’ এবং ‘তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা’ বলে বর্ণনা করেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম