বৃহস্পতিবার,

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

২৬ ভাদ্র ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

২৬ ভাদ্র ১৪৩২

Radio Today News

ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ১১ জনের মৃত্যু, কয়েকজন নিখোঁজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Google News
ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ১১ জনের মৃত্যু, কয়েকজন নিখোঁজ

ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট এই বন্যায় পূর্ব নুসা তেঙ্গারা প্রদেশ এবং পর্যটন দ্বীপ বালিতে ১০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছে।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্ব নুসা তেংগারার নাগেকিও জেলায় বুধবার ঘর ভেসে যাওয়ার পর একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং পাঁচ জন নিখোঁজ রয়েছে।

একই দিন বালির প্রাদেশিক রাজধানী ডেনপাসারের পুলিশ প্রধান মুহাম্মদ ইকবাল সিমাতুপাং জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে উদ্ধারকারীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

বালির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতের ফলে নদীগুলোর তীর ভেঙে গেছে। এর ফলে বালির নয়টি শহর ও জেলায় প্রভাবে পড়েছে। কাদা, পাথর ও গাছপালা পাহাড়ি জনপদে আছড়ে পড়ছে। নদীর স্রোতে কমপক্ষে ১১২টি গ্রাম ডুবে গেছে এবং বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।

বালির অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান নিওমান সিদাকার্য জানিয়েছেন, দক্ষিণ ডেনপাসারের কুম্বাসারি বাজার এলাকায় ধসে পড়া একটি ভবনের ভেতরে ৪ জন ছিলেন। তারা নিখোঁজ রয়েছেন।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘোলা জলে গাড়ি ভাসছে। সৈন্য এবং উদ্ধারকারীরা রাবারের নৌকায় করে শিশু এবং বয়স্কদের সাহায্য করছে। অনেকেই পানিতে ডুবে যাওয়া বাড়ি এবং ভবনের ছাদে উঠতে বাধ্য হয়েছে।

বালির গভর্নর ওয়ায়ান কোস্টার বলেন, তীব্র বন্যায় আবাসিক এলাকা এবং পর্যটন কেন্দ্রের হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও ভবন ডুবে গেছে। কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে হোটেল, রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল ও অন্যান্য সরকারি স্থাপনাগুলো জেনারেটর ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।

তিনি বলেন, কারাঙ্গাসেম, জিয়ানিয়ার ও বাদুং জেলার ১৮টি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং কমপক্ষে ১৫টি দোকান ও বাড়ি ভেসে গেছে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি রাস্তা ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেন, তীব্র আবহাওয়া এবং রুক্ষ ভূখণ্ড উদ্ধার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে।

প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভারী মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়শই বন্যা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের