
বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় কম্বোডিয়ান বেসামরিক নাগরিকদের ওপর কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে থাইল্যান্ডের পুলিশ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে।
গত জুলাই মাসে পাঁচ দিনের মারাত্মক সামরিক সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে এটিই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উত্তেজনার ঘটনা।
কম্বোডিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কমপক্ষে ২৩ জন নাগরিক আহত হয়েছেন। আর থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অনির্দিষ্ট সংখ্যক থাই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের দাবি, সা কায়েও প্রদেশের বান নং ইয়া কায়েও গ্রামের বিতর্কিত বসতিতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে কম্বোডিয়া এলাকাটিকে তাদের বান্থে মিয়ানচে প্রদেশের প্রে চান গ্রামের অংশ বলে দাবি করেছে।
থাই কর্তৃপক্ষ গত মাসে এই এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে সীমান্তের উভয় পাশের বেসামরিক নাগরিকরা বিক্ষোভ করে আসছে।
থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ৮১৭ কিলোমিটার স্থল সীমান্তের বিভিন্ন অনির্ধারিত স্থানে সার্বভৌমত্বের বিরোধিতা করে আসছে। ১৯০৭ সালে কম্বোডিয়া উপনিবেশ থাকাকালীন ফ্রান্স প্রথম মানচিত্র তৈরি করেছিল।
জুলাই মাসে বিতর্কিত এলাকা নিয়ে উত্তেজনা সীমান্ত সংঘাতে রূপ নেয়। কয়েক দশকের মধ্যে প্রতিবেশীদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে, যার ফলে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয় এবং লাখ লাখ মানুষ অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়।
২৮ জুলাই মালয়েশিয়ায় উভয় দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় দুই দেশ। এরপর লড়াই শেষ হয় এবং তখন থেকে সীমান্ত মূলত শান্ত রয়েছে।
বুধবার কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী নেথ ফেকট্রা থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগ এনে বলেছেন, কম্বোডিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট এবং শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
থাই সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রায় ২০০ কম্বোডিয়ান বিক্ষোভকারীর উস্কানির জবাবে থাইল্যান্ড শক্তি প্রয়োগ করেছে। কেউ কেউ থাই কর্মকর্তাদের দিকে লাঠি, পাথর নিক্ষেপ করে, যার ফলে অনেকে আহত হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম