
ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের চিফ অব স্টাফ (সেনাপ্রধান) মুহাম্মদ আবদ করিম আল-ঘামারি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। আগস্টের শেষ ভাগে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার বিষয়টি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার হুতি বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে সেনাপ্রধান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। তারা বলেছিল, ঘামারি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন এবং যদিও সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেনি, তবে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সংঘাত এখনো শেষ হয়নি এবং 'ইসরায়েল তার করা অপরাধের যথাযথ শাস্তি পাবে।' তবে এবার আইডিএফ তাকে হত্যার দায় স্বীকার করে নিল।
গত ২৮ আগস্ট ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হুতি সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী নিহত হন। সেই সময় ইসরায়েল জানিয়েছিল, হামলার লক্ষ্য ছিল হুতিদের চিফ অব স্টাফ আল-ঘামারি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও অন্য শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঘটনার পর বলেন, 'যেসব সন্ত্রাসী সেনা কর্মকর্তা আমাদের ক্ষতি করতে চেয়েছিল, তাদের মধ্যে আরেকজন, এক চিফ অব স্টাফকে নির্মূল করা হয়েছে। আমরা তাদের সবাইকেই নির্মূল করব।'
মুহাম্মদ আবদ করিম আল-ঘামারি ২০১৬ সালে হুতি বিদ্রোহীদের চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পান এবং তাকে হুতির সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কাউন্সিল মেজর জেনারেল পদ দেয়।
এরপর ২০২১ সালে তিনি হুতির কমান্ডার-ইন-চিফ বা সর্বাধিনায়কের পদ পান, যেখানে তিনি আবদুল খালেক আল-হুতির স্থলাভিষিক্ত হন। সর্বাধিনায়ক পদে নিয়োগ পাওয়ার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তার বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করে। সংস্থাটির অভিযোগ ছিল, তিনি ইয়েমেনের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করেছেন। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগও পরবর্তীতে একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম